সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের ছবি ‘জেলর’। ছবি মুক্তির ১০ দিনের মাথায় ছবির যায় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু সেই ছবির নায়ক অর্থাৎ রজনীকান্ত ছবি সাফল্যের স্বাদ পেতেই কি পাড়ি দিলেন হিমালয়ে?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের হিমালয়যাত্রার ছবি। মন্দির দর্শন করতে এসেছিলে অভিনেতা। সেই সঙ্গে কয়েকটি আধ্যাত্মিক বৈঠকও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।তাঁর ঘনিষ্ট মহল সূত্রের খবর, ছবি মুক্তির আগে হিমালয়ে যেতে পছন্দ করেন অভিনেতা। ২০১৮ সালে কালা ছবি মুক্তির আগেও হিমালয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন ওঠে, হিমালয়ের সঙ্গে কী যোগসূত্র রয়েছে অভিনেতার?
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বিরোধী কমিটির বৈঠক ডাকলেন উপাচার্য
মহাবতার বাবাজির একনিষ্ট ভক্ত হিসেবে নিজের পরিচয় দেন রজনীকান্ত।সেই টানেই বারবার হিমালয়ে যান তিনি। প্রসঙ্গত, পরমহংস যোগানন্দের লেখা ‘অটোবায়োগ্রাফি অফ আ যোগী’ বইটি পরে মহাবতার বাবাজি প্রসঙ্গে জানতে পারেন রজনীকান্ত। অভিনেতা জানান, ১৯৯৯ সালে রজনীকান্ত প্রথম এই বইটি পড়েছিলেন।তিনি বলেন, বইটি পড়ার সময় তাতে মহাবতার বাবাজির যে ছবি ছিল সেই ছবি থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি ঠিকরে বের হতে দেখতে পান তিনি। রজনীকান্তের দাবি, জ্যোতি থেকে নাকি এক কণ্ঠস্বরও ভেসে আসে। সেই কণ্ঠ রজনীকান্তকে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মহাবতার বাবাজিকে ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সালের অন্তর্বর্তী সময়ে হিমালয়ে শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল।তাঁর ভক্তেরা তাঁকে ‘অমর’ বলে পরিচয় দেন।একেই দাবি রজনীকান্তেরও।আর মূলত এই ভক্তির কারণেই তিনি ছবি মুক্তির আগে একবার হলেও পারি দেন হিমালয়।