কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে যৌনসঙ্গী কমানোর পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র (WHO)। বিশ্বব্যাপী দ্রুত মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়তে থাকায় হু এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। জানা গিয়েছে, মাঙ্কিপক্স সাধারণত পুরুষ সমকামীদের থেকেই বেশি ছড়ায়। সেই কারণে মহামারি রূপে ছড়িয়ে পড়ার আগেই হু এই পরামর্শ দিল।
কোভিড-আতঙ্ক আপাতত পিছনের সারিতে চলে গেলেও মাঙ্কিপক্স নতুন করে ভীতি সৃষ্টি করেছে। ভারতেও বেশ কয়েকটি রোগাক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। শুধু সমকামে রাশ টানাই নয়, হু বলেছে উপসর্গ থাকলে সেই ব্যক্তি রক্তদান বা বীর্যদানও করতে পারবেন না। তাঁকে একেবারে পৃথক থাকতে হবে। এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখে হু আগেই একে বিশ্ব স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। এবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের থেকে সংক্রমিত হচ্ছে। এবং তা সমকামের প্রভাবেই হচ্ছে। তাই সকলের কাছে হু বলেছে, আপাতত যৌনসঙ্গীর সংখ্যা কমাতে অথবা কিছুদিনের জন্য সমকাম বন্ধ রাখতে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘গুপ্তধন’ উদ্ধারের পর আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক, কী সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা?
হু-এর শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী মোট ৭৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। যেখানে এখনও পর্যন্ত ১৮০০০ আক্রান্ত। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই হল ইউরোপে এবং ২৫ শতাংশ হল আমেরিকায়। অবশ্য মাঙ্কিপক্সে এখনও মৃত্যুর সংখ্যা কমই রয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হু।
মাঙ্কিপক্সকে ইতিমধ্যেই হু বিশ্ব স্বাস্থ্যের নিরিখে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে নিউ ইয়র্কে হু-হু করে বাড়ছে এই রোগ। শেষ হিসেব বলছে, আমেরিকার এই শহরে প্রায় ১০৯২ জন আক্রান্ত। শহরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, এর কারণ বর্ণবৈষম্যবাদী মাঙ্কিপক্সের নামের কারণেই অনেকে উপসর্গ চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ডাক্তার দেখাতে চাইছেন না লজ্জায়। নিউ ইয়র্কের জনস্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান হু’র প্রধান আধানম ঘেরব্রেইয়েসুসকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, এই রোগের নামের জন্য আমরা ভয়ানক বিপদে পড়েছি। অনেকে নামের কারণে লোকলজ্জার ভয়ে উপসর্গ চেপে যাচ্ছেন। যে কারণে এখানে ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।