নয়াদিল্লি: বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে এবার মুখ খুলল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং সোমবার এক টুইটে লিখলেন, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যা ঘটেছে তা ভীতিকর। আমি মমতার একজন ভক্ত। তাঁর দৃঢ়চেতা ও সংকল্পবদ্ধ চরিত্রের জন্য তাঁকে আমি খুব পছন্দ করি। কিন্তু যা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা জানি আপনি সিপিএমের আমলে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন। কিন্তু, এখন যা ঘটছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়, মন্তব্য দিগ্বিজয়ের।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা ছড়ানো নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রক্তে রাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গ্রামবাংলার ভোটে এরকম রক্তক্ষয় ও মৃত্যু নিয়ে কোনও দলই মুখ খোলেনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের দায়বদ্ধতা থেকেই সকলে চুপ করে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: SC | Abhishek Banerjee | ইডি ও সিবিআই তদন্ত চলবে, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা অভিষেকের
এনিয়ে গতকাল, রবিবার ভোপালে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা নিয়ে প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বাংলায় কী পরিমাণ মারণ-হিংসা হয়েছে তা গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। রাহুল গান্ধীর কাছে স্মৃতি ইরানির প্রশ্ন, এরপরেও কি তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট গঠনে রাজি হবেন? এ ধরনের ঘটনা রাহুলের কাছে কিংবা তাঁর পার্টির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে?
স্মৃতি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে মানুষ তার সাক্ষী আছে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাওয়া মানুষকে খুন করা হয়েছে। সেই তৃণমূলের সঙ্গেই কংগ্রেস হাত মেলাতে যাচ্ছে। গান্ধী পরিবার কি ওদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে তৈরি! রাহুল গান্ধী কি এই ‘মৌত কি খেলা’ মেনে নেবেন, প্রশ্ন তোলেন বিজেপি মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শনিবারের ভোট সন্ত্রাস নিয়ে রবিবার পর্যন্ত দিল্লির কংগ্রেস কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু, এদিন ভোরেই এক টুইটে প্রবীণ নেতার এই মন্তব্য জোট গঠনের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিল কি না তা সময়ই বলবে।