Placeholder canvas
কলকাতা বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ |
K:T:V Clock
Aajke | ২০১৮-র মতো ভোট হবে না, বলেছিলেন অভিষেক, বাস্তবে কী হল?
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩, ১০:৩০:০০ পিএম
  • / ৮৩ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

জনজোয়ারের বহু আগে থেকেই তৃণমূলের যুবরাজ বহুবার বলেছেন, বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হবে না, জোর করে নমিনেশন ফেরত নেওয়ার যে অভিযোগ, তা নিয়ে বিরোধীদের আর ভাবতে হবে না। ভোট নিশ্চিন্তে দিন, ভোট শান্তিতে হোক, আমরা মানুষের জন্য যে কাজ করেছি, তার ভিত্তিতেই মানুষ আমাদের ভোট দেবে, আমরা জিতব। একবার নয়, বারবার বলেছেন, জনসভাতে বলেছেন, সাক্ষাৎকারে বলেছেন। কিন্তু সেসব কেউ কি বিশ্বাস করেছে? না করেনি। এবার যখন সেই দিন এসে হাজির হল তখন গগন নিনাদিত আওয়াজ, হিংসা, বিরোধীদের মনোনয়ন দিতেই দেওয়া হচ্ছে না, আবার সেই মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে খড়্গ হাতে উন্নয়ন, আবার হুমকি ধমকি। শুধু কি বিরোধীরাই বলছেন, আমরা টিভির পর্দায় দেখলাম, বোমা পড়ছে, মারপিট, দেখলাম লাশ, চারজন তৃণমূল, একজন করে কংগ্রেস, আইএসএফ, বিজেপি এবং সিপিএম কর্মী, মোট আটজন মারা গিয়েছেন। যা পরিষ্কার প্রমাণ করে হিংসা হয়েছে, চলছে। কিন্তু এটাও প্রমাণ করে যে সেই হিংসা একতরফা নয়। কিন্তু সে যাই হোক, হিংসা রোখার দায় তো রাজ্য সরকারের, সে দায় তো এড়ানো যায় না। এরপর মনোনয়ন জমা দেওয়া এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়। যা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্পষ্ট আশ্বাস ছিল, তা নিয়ে কেবল বিরোধীরাই প্রশ্ন তুলছেন, তাই তো নয়, প্রশ্ন তুলছে আদালত, প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যপাল, প্রশ্ন তুলছে সংবাদমাধ্যম। রাজ্যপাল তো আপাতত পক্ষ নির্ধারণও করে ফেলেছেন, এ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে ছাড়ব, এ কথাও বলেছেন। সেটাই আজ আমাদের বিষয় আজকে। ২০১৮-র মতো ভোট হবে না, বলেছিলেন অভিষেক। বাস্তবে কী হল?

আদালত, মিডিয়া, বিরোধী দল এবং রাজ্যপালের কথা শুনলে মনে হচ্ছে বাংলা এখন ইউক্রেন, মনে হচ্ছে বিরোধীরা প্রার্থী দিতেই পারেনি যার ফলে রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। রাজ্যপালের মুখে চোখে কী উত্তেজনা। এবং উল্টোদিকে সরকার আর তৃণমূল দলের কথা শুনলে মনে হচ্ছে বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাস বহিতেছে, কোকিল ডাকিতেছে। আসুন ওসবে কান না দিয়ে আমরা একটু তথ্য দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি বাস্তব অবস্থাটা কী। ২১ তারিখ রাত ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েতে মোট আসন আছে ৭৩৮৮৭টা, মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ২ লক্ষ পাঁচ হাজার সাতশো কুড়িটা। মানে আসন পিছু গড়ে প্রায় তিনজন করে প্রার্থী আছে। বিজেপি মনোনয়ন জমা করেছে ৪৬৭৩৮টা, সিপিএম ৪৩০২৯, কংগ্রেস ১৪৯১৪, তৃণমূল ৭১২৮৭টা, নির্দল আছে ১৯ হাজারের মতো। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬২৩৮ আসনে লড়াই হচ্ছে না, যেখানে মোট আসন আছে ৬৩২২৯টা। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯৭৩০, লড়াই হচ্ছে না ৭৫৯টা আসনে। জেলা পরিষদে মোট আসন ৯২৮টা, মাত্র ৮টাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে শাসকদল। মোট হিসেবে এবারে ৯.৫ শতাংশের কিছু বেশি আসনে নির্বাচন হচ্ছে না। আচ্ছা গতবারে মানে ২০১৮তে এই হিসেবটা কত ছিল? কম বেশি ৭৩-৭৪ হাজার আসনের ২০ হাজার আসনে ২০১৮তে লড়াই হয়নি, বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারেনি, মানে ৩৪ শতাংশ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। ২০১৩তে ১০.৬৬ শতাংশ আসনে নির্বাচন হয়নি, বাম জমানাতে ২০০৩-এ ১১ শতাংশ আসনে ভোট হয়নি, ১৯৮৮তে ৮.৯ শতাংশ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল। গোটা রাজ্যে বড় হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১৩টা যেখানে মানুষ মারা গিয়েছেন বা গুরুতর আহত হয়েছেন। এরমধ্যে রাজ্যপাল কন্ট্রোল রুম খুলে বসেছিলেন, তিনি গোটা রাজ্যের মানুষের আর্তনাদ শুনেছেন, তো তেনার রাজভবন থেকে মোট ৪৬টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: Aajke | তৃণমূলের বিদ্রোহী মুখ 

রাজ্যের ৭৩ হাজার আসনে বিরোধীরা দেড় লক্ষের বেশি মনোনয়ন জমা করলেন, রাজ্যপাল কি সেকথা বলেছেন? বলেছেন যে গতবারের থেকে ২৪-২৫ শতাংশ বেশি নমিনেশন জমা পড়েছে এবারে? আদালতে এসব কথা উঠেছে? মিডিয়া এসব কথা বলেছে? কিন্তু পাখি সব কর রবের মতো এক গগন নিনাদিত আওয়াজ তোলা হচ্ছে গেল গেল বলে, সেটা কার স্বার্থে? কেন? বাচ্চা ছেলেও জানে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন ভালো, কাজেই তারা সেখানে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বামেরা সংগঠিতভাবে নমিনেশন জমা দিয়েছে, অধীর কংগ্রেস মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া আর পুরুলিয়াতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এই যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা, সেখনে কয়েকটা আসনে হলেও সিপিএমও জিতেছে, হ্যাঁ এ রাজ্যে শূন্য বিধায়কের দল, রায়নাতে তিনটে আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন, সে খবর গণশক্তিতে আজ ছাপাও হয়েছে, বলা হয়েছে তৃণমূলের ওপর তীব্র ঘৃণা থাকায় এখানে কেউ প্রার্থী হতেই রাজি হয়নি। আমরা মানুষকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এবারের পঞ্চায়েতে ৭৩ হাজার আসনে বিরোধীরা দেড় লক্ষ মনোনয়ন দাখিল করেছেন, এরপরেও কি মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ ধোপে টেঁকে? মানুষ কী বলছে শুনুন। 

কিন্তু এটাও ঘটনা যে এখনও ৯.৫ শতাংশ আসনে নির্বাচনই হল না, এটাও ঘটনা যে, যে দলেরই হোক না কেন আট জন মারা গিয়েছেন। গণতন্ত্রে এও তো কাম্য নয়। কাজেই একজন মারা গেলেও তার দায় রাজ্য সরকার বা শাসকদলের উপরেই পড়ে, সে দায় তো যুবরাজকেই নিতে হবে। এখনও নির্বাচন শেষ হয়নি, অভিষেক, যদি আপনি সত্যিই এক উদার বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাহলে আর যাতে রক্ত না ঝরে তার ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে। সরকার আসবে, সরকার যাবে, দল আসবে দলও চলে যাবে, আমাদের দেশের গণতন্ত্র যেন হারিয়ে না যায়, আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। সেটাই আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭
১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪
২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

পহেলগাম হামলার জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’! জানাল ভারতীয় সেনা
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
ভারতে পাকিস্তানের ফাইটার জেট ! তারপর কী হল দেখুন
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
অপারেশন সিঁদুর: মধ্যরাতে পাকিস্তানে আঘাত নিয়ে কি বলছেন সিনে তারকারা!
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
চীনের পর পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াচ্ছে তুরস্ক? জারি হল বিবৃতি
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিঁন্দুর’ সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিঁদুর’ দুঃখজনক! কড়া প্রতিক্রিয়া ‘পাক-বন্ধু’ চীনের
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন এই নাম? জেনে নিন
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
পহেলগামের বদলা, ভারতীয় সেনাকে কী বার্তা অমিত শাহর?
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিন্দুর’ পাকিস্তানের কোন কোন জায়গায় ভারতের অ্যাটাক?
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
“এটা লজ্জার…,” ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে কেন একথা বললেন ট্রাম্প?
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’, বার্তা জয়শংকরের
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
কেন পাকিস্তানের মুরদিকেই ‘পাখির চোখ’? কী আছে সেখানে?
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কতটা ক্ষয়ক্ষতি? খোলসা করল পাকিস্তান
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক ভারতীয় সেনার
বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team