নয়াদিল্লি: ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) নির্বাচন হবে আগামী ৪ জুলাই। ওই দিনই কুস্তি ফেডারেশনের বিশেষ সাধারণ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সভাতেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঠিক করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি মহেশ মিত্তল কুমারকে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী (Sports Minister) অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) সঙ্গে কুস্তিগিরদের বৈঠক হয়েছিল গত বুধবার। অনুরাগ জানিয়েছিলেন, যৌন হেনস্তার অভিযোগে পুলিশ ১৫ জুনের মধ্যে চার্জশিট দেবে। তিনি কুস্তিগিরদের এও জানান, ভারতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচন হবে ৩০ জুনের মধ্যে। এই সব প্রতিশ্রুতির জন্য ১৫ জুন পর্যন্ত কুস্তিগিররা তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়ায় দিল্লি পুলিশ কুস্তিগির সঙ্গীতা ফোগটকে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগের সারবত্তা খুঁজছে তারা। এদিকে কুস্তিগির বিনেশ ফোগট টুইটারে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে এক হাত নেন। কারণ রটনা হয়েছিল যে, কুস্তিগিররা ভারতীয় কুস্তি সংস্থার অফিসে পৌঁছেছে একটি সমাধান সূত্র বের করার জন্য।
কুস্তিগির বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) জানিয়েছেন, ১৫ জুনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা বড় ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবেন। পুলিশের ১৫ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দেওয়া তদন্তের আশ্বাস পূরণ না হলে আমরা আরও বড় আকারে প্রতিবাদে নামব। আমরা তার গ্রেফতারে দাবি থেকে পিছপা হইনি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | চাপে কি না, মনোনয়ন প্রত্যাহারে কারণ জানাতে হবে কমিশনকে
কুস্তিগির বিতর্কের মধ্যেই সোমবার উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় জনসমাবেশ করে ফেডারেশন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন। বিজেপি সাংসদকে বরখাস্ত করার জন্য যখন দলের উপর অনবরত চাপ আসছে, তখন এদিন নিজের দুই ঊরু চাপড়ে বিরোধীদের জবাব দিলেন ব্রিজভূষণ। এও বললেন, তিনি আবারও কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদের জন্য লড়বেন
এদিকে, সমঝোতার জন্য চাপ দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাক্ষী মালিক। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগকারী সাত মহিলা কুস্তিগিরের মধ্যে একজন ছিলেন। চাপের মুখে তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করেছিলেন, অলিম্পিয়ান সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের উপর সমঝোতার জন্য চাপ রয়েছে। ব্রিজভূষণের লোকেরা ফোন করে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য।
মালিক আরও বলেন, তাঁরা প্রথম দিন থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে আসছেন। কারণ অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের ভয় দেখানোর জন্য প্রভাব খাটাছেন ব্রিজভূষণ। তাঁকে গ্রেফতার না করলে নিরপেক্ষ তদন্ত করা যাবে না। সাক্ষী মালিক বলেন, আমরা একমাত্র তখনই এশিয়ান গেমসে অংশ নেব যখন এই সব ইস্যুর নিষ্পত্তি হবে।