কলকাতা: ওমিক্রনের সংক্রমণে (Bengal Covid Rate) কোভিডের তৃতীয় ঢেউ (covid third wave) আছড়ে পড়েছে দেশে। বুধবার, আজকের দিনে কোভিড আক্রান্ত (Covid positivity rate)রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩১৯ জন। সংক্রমণের নিরিখে সব মিলিয়ে ৮টি রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির যে হার, যাকে পজিটিভিট রেট বলা হচ্ছে সেই হারে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।
পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে তালিকায় একেবারে সামনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এরপর রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ। এই চার রাজ্যে সংক্রমণের ভয়াবহতা নিয়েই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ২৩.১ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে ২২.৩৯ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে বৃদ্ধির হার ৪.৪৭ শতাংশ। তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, মোট ৮ রাজ্যের পরিসংখানের দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। এই আট রাজ্য হল- মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, নয়াদিল্লি, তামিলনাডু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা এবং গুজরাত। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও বেশ কিছু নির্দেশ প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, প্রয়োজনীয় অক্সিজেন মজুত করে রাখা, হাসপাতাল পরিকাঠামোকে প্রস্তুত রাখা, এমনকি কাদের করোনা টেস্ট করতে হবে বা কাদের প্রয়োজন নেই সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আদালতের নির্দেশ না মানলে গঙ্গাসাগরে যাওয়া যাবে না : মমতা
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, উপসর্গ রয়েছে এমন সাধারণ মানুষকে টেস্ট করতে হবেই। উপসর্গহীন সাধারণ মানুষের কোভিড টেস্টের প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাদের গাইডলাইনে জানিয়ে দিয়েছে উপসর্গ রয়েছে বা উপসর্গ নেই এমন সমস্ত সাধারণ মানুষকেই ৭ দিনের হোম আইসোলেশনে যেতে হবে। যদি না হাসপাতালে ভর্তি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ছাড়াও যে সমস্ত পরিচিত মানুষ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকেও হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের গাইডলাইনে।
মঙ্গলবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৬ হাজারের বেশি। একদিনে প্রায় দ্বিগুণ হল মৃত্যুর সংখ্যা। গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩। মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭৭। বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫.৮ শতাংশ বেড়েছে।