কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) ২৪ ঘণ্টা আগে শুক্রবারও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সংশয় কাটল না। এরই মাঝে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য পুলিশ (State Police) কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
১) প্রত্যেক বুথে একজন করে সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে।
২) প্রত্যেক সেক্টরে একজন অফিসার থাকবে।
৩) প্রত্যেক RT মোবাইলে একজন ইন্সপেক্টর এবং একজন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে।
৪) প্রত্যেক HRFS-এ একজন করে ইন্সপেক্টর, ২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল, একজন কনস্টেবল গ্যাস গান ও একজন লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে।
৫) প্রত্যেক DCRC-তে একজন অফিসার, ২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল ও ২ লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে।
৬) স্ট্রংরুমে ২ জন অফিসার এবং ৮ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | বুথ সুরক্ষার কী হবে, শাহকে চিঠি বিএসএফ কর্তার
আগেই লালবাজারের তরফে রাজ্যের আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে জেলায় ১২ হাজার পুলিশকর্মী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিল লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, থানার ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিককে ভোটের কাজে অন্য জেলায় সে ভাবে পাঠানো না হলেও ডেকে নেওয়া হয়েছে হোমগার্ড, কনস্টেবল, এএসআই, এসআইদের একটা বড় অংশকে। এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার কাজে থানার প্রায় দুই- তৃতীয়াংশ কর্মী চলে গিয়েছেন।
অন্যদিকে, গতকাল রাতে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জরুরি বৈঠক করে। বিএসএফের আইজি এস সি বুডাকোটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। প্রতি বুথে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান কীভাবে মোতায়েন হবে, তা নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা চলে। অন্তত হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নিয়ম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। সেখানে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রেখে বুথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে আইজি বিএসএফের। যদিও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা এখনও রয়েছে।