কলকাতা: প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণদের জন্য সুখবর। স্ক্রুটিনি ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য অফলাইনে আবেদনকারী ৪৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে চলেছে পর্ষদ। তাঁদের স্ক্রুটিনি, ভাইভা, তথ্য যাচাই এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট হবে। সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
২০০৯ সালে বাম আমলে প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১০ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১৫টি জেলা নিয়োগ হলেও চারটি জেলা নিয়োগ হয়নি। সেগুলি হল- দক্ষিণ ২৪পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার এই চারটি জেলার প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষক ছেলে দায়িত্ব নিতে নারাজ, থানায় অভিযোগ দায়ের বাবার
২০১২ সালে ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। সেই পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু হাওড়া ছাড়া বাকি তিনটি জেলায় নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন কোর্টে মামলা চলে। এ বার মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে যে ৪৬৭ জন চলতি বছরের ৯ এবং ১০ জানুয়ারি অফলাইনে ফর্ম জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের স্ক্রুটিনি, ভাইভা এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট হবে। ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর তাঁদের শিক্ষা ভবনে আসতে বলা হয়েছে। মোট ৪৭৬ টি শূন্যপদ আছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি, ভিত্তিহীন বলল তৃণমূল
ভেরিফিকেশনের সময় টেটের অ্যাডমিট কার্ড, টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ হওয়ার নথি, বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অরিজিনাল অ্যাডমিট কার্ড, মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অরিজিনাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অরিজিনাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট লাগবে।
এ ছাড়াও লাগবে- প্রশিক্ষণের অরিজিনাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, স্নাতক স্তরের অরিজিনাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, অরিজিনাল কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতি শংসাপত্র, অরিজিনাল ভোটার আইডি কার্ড বা আধার কার্ড এবং দুটি পাসপোর্ট সাইজ ফটো। কসবা থানার পাশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে তথ্য যাচাই করা হবে।
আরও পড়ুন: WB Primary Tet: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের নিয়োগের তথ্য চাইল কলকাতা হাইকোর্ট