কলকাতা: ফের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) মুখে বাংলার হিংসা আর দুর্নীতির কথা। সেই কথা বলে আবারও শাসকদলের রোষের মুখে রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bartya Basu) থেকে শুরু করে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee), তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পর্যন্ত সকলেই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সব মিলিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত আরও একবার রাস্তায় নেমে এল।
রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে বোস রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করে আবৃত্তি করেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির। মঙ্গলবার আবারও তিনি কবির এই লাইনগুলিই আওড়ালেন। তবে তার প্রেক্ষাপট ছিল অন্য। কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, এই রাজ্য থেকে হিংসা এবং দুর্নীতিকে দূর করতে হবে। এদিনও তিনি বলেন, গুরুদেব বলেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির। তবে এখনকার বাংলা সেই বাংলা নয়। এখনও দেরি হয়নি। অনেক দেরি হওয়ার আগে মানুষ চায়, দুর্নীতি শেষ হোক। এটা শেষ করতে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এটাই শেষের শুরু, দুর্নীতি, হিংসার শেষের শুরু। তাঁর আরও মন্তব্য, রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী, দেখা করলেন কুড়মি নেতৃত্বের সঙ্গে
রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি নাট্যকার, বাংলার অধ্যাপক শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, রাজ্যপালকে বেশি হেঁট হতে বারণ করুন। চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে পড়ে যাবে। বিধানসভার স্পিকার বলেন, রাজ্যপালের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। এমন কোনও পরিস্থিতি রাজ্যে তৈরি হয়নি। তিনি এসব কথা মণিপুরে গিয়ে বলুন। এসব কথা বলার পিছনে রাজ্যপালের কোনও উদ্দেশ্য আছে। স্পিকারের আরও মন্তব্য, রাজ্যপালের আগে বাংলা শেখা দরকার। তিনি রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করছেন। তাঁর কথার অন্তর্নিহিত অর্থটা তো বুঝতে হবে।
২২ শ্রাবণ উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী এদিন জোড়াসাঁকোতে গিয়েছিলেন। সেখানে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে ব্রাত্য বলেন, কে উপাচার্য, কোন উপাচার্য, আমি এমন নামে কোনও উপাচার্যকে চিনি না। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল বাংলার মাটিতে থাকার অধিকার হারিয়েছেন। তিনি বিজেপির দালাল। তিনি পরিকল্পিত ভাবে বাংলাকে ছোট করতে চাইছেন সকলের কাছে।