কলকাতা: যা প্রতিবাদ করার রাজভবনের ভিতরে এসে করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজভবনে ধরনার হুঁশিয়ারিকে স্বাগত জানিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল হাত জোড় করে বলেন, আমার সাংবিধানিক সহকর্মী মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছি তাঁর ওই প্রতিবাদ আন্দোলনের জন্য। একই সঙ্গে রাজ্যপালের আরও মন্তব্য, শিক্ষাকে আমি দুর্নীতিমুক্ত করবই। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষাক্ষেত্রগুলিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। অনেক উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বোসে রাজনীতি করছিলেন। শিক্ষায় মাফিয়ারাজ কায়েম হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষাকে আমি মাফিয়ামুক্ত করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor C V Ananda Bose) সমালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরও বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, যে রাজভবনে বসে আপনি কেরলের লোকজনকে চা খাওয়ান, সেই রাজভবন চালানোর টাকাও আমরা দিই। তেমন হলে অর্থনৈতিক অবরোধ করব। টাকা দেব না। দরকার হলে রাজভবনে ধরনায় বসব।
আরও পড়ুন:গণধর্ষণের মামলার তদন্তে নির্যাতিতার বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশ, বিস্মিত আদালত
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল ওই প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে উঠল বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। এরই মধ্যে তৃণমূলপন্থী শিক্ষাবিদ এবং অনেক অপসারিত উপাচার্য আগামিকাল শুক্রবার রাজভবনে ধরনায় বসতে চলেছেন। ওই শিক্ষাবিদ ও উপাচার্যদের তরফে এদিনই ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির জবাব দেওয়ার পর পরই সরকারপন্থী শিক্ষাবিদ উপাচার্যরা রাজভবনে ধরনার কথা ঘোষণা করে রাজ্যপালকেই বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে বোস জানান, মুখ্যমন্ত্রীর যে কোনও ধরনের প্রতিবারকে স্বাগত। আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে তিনি কোনও গণ্ডগোল বরদাস্ত করবে না। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজন উপাচার্যকে সরিয়েছি। আরও কয়েকজনকে সরাব। আমি শেষ দেখে ছাড়ব। ক্যাম্পাসে যে সব নরখাদক ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের রেহাই নেই। তাদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে।