কলকাতা: আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার পাটনা বৈঠকের সাফল্যের পর এদিন ফের বিজেপি বিরোধী সুর চওড়া করবেন তৃণমূল নেত্রী। গতকাল, রবিবারই কলকাতা থেকে কোচবিহারে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা। তবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তাঁর ময়দানে নামা নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধীরা। যদিও সেই বাক্যবাণের জবাবও দিয়েছে শাসকদলের নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Vote) পাখির চোখ করে মমতার এই উত্তরবঙ্গ যাত্রা। কোচবিহারে আজ, সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই জনসভার পর সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের মেটেলিতে (Meteli) যাবেন। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তিনি। এরপর সেখান থেকে ডুয়ার্সের ক্রান্তি ব্লকের চেকেন্দা ভান্ডারী মাঠে মঙ্গলবার জনসভা করবেন। ক্রান্তি ব্লকে প্রথমবার যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। রবিবার এই মাঠে হেলিকপ্টারের মহড়া হয়ে গেল। মাঠে ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা। মাঠে দাঁড়িয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, জেলা পরিষদের ২৪ টি আসন সহ নয়টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৮০ টি গ্ৰাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস দখল করবে। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা উত্তরের দুই জেলায়।
আরও পড়ুন: Daily Bengali Horoscopes | Ajker Rashifal | আজকের রাশিফল| ২৬ জুন, ২০২৩
কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলা সফরকে নিয়ে বিরোধী দল বিজেপি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। তাদের বক্তব্য, মমতা বুঝতে পেরেছেন রাজ্যের মানুষ ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মতো পদের নেত্রীকেও গ্রামীণ ভোটের প্রচার আসরে নামতে হল। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিয়ে নেত্রীর মনেই সন্দেহ আছে। তাই তাঁকেও শেষপর্যন্ত ক্ষত মেরামতে নামতে হচ্ছে। দলের সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গ্রামীণ ভোটে প্রচার করা মুখ্যমন্ত্রী পদকে অপমানিত করে। এটা তাঁর মতো মানুষকে শোভা পায় না।
দিলীপ আরও বলেন, তাঁর দল দাবি করে নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য প্রার্থী। ফলে আশা করা যায় তিনি লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের প্রচারে নামতে পারেন। কিন্তু এত প্রমাণ হচ্ছে যে, এবারে ভোটের ফল নিয়ে তিনি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন, বলেন বিজেপি নেতা। এর জবাবে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উনি ইচ্ছে করলেই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে স্বাধীনভাবে মিশতে পারেন। আসলে বিজেপিই মমতা নামেই ভয় পাচ্ছে।