কলকাতা: ‘হাম ঝুকেঙ্গে নেহি’। ‘পুষ্পা’ (Pushpa) সিনেমার বিখ্যাত সংলাপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মুখে। বুধবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপি (BJP) সরকারকে এই ভাষাতেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা। রাজ্যে চলতি তাপপ্রবাহ ও কোভিড নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে দু-চার কথা বলার পরই বিজেপি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) অগ্নিবাণ হানেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি এবং কেন্দ্র যেভাবে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার রাজনীতি করছে, তার উল্লেখ করে দিল্লিকে মমতার চ্যালেঞ্জ হাম ঝুকেঙ্গে নেহি।
মমতা বলেন, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু এরা দাঙ্গার নামে আগুন লাগাতে চায়। আমি ওদের সামনে মাথা নিচু করব না। কী করবে? আমাদের পরিবারের, তৃণমূল পরিবারের সবাইকে গ্রেফতার করে দাও। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কতগুলো কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছিল! এখনও হাজার লোক জেলে আছে। বাইরে যারা আছে, তাদের বিরুদ্ধেও কেস চলছে। কিন্তু, বিজেপির রাজ্যে আজ পর্যন্ত কোথাও কেন্দ্রীয় টিম গিয়েছে? প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Mukul Roy | বিজেপিতে যোগ-জল্পনার মাঝেই পঞ্চায়েতে পরিবর্তনের ডাক মুকুলের
মমতা আরও বলেন, ওদের যা ইচ্ছে তাই করছে। ওরা ভাবছে, ক্ষমতায় থাকলেই যা ইচ্ছে তাই করা যায়। ওরা বুঝতে পারছে না, ক্ষমতা হল সাময়িক। চেয়ার আসে, চেয়ার যায়। কিন্তু গণতন্ত্র বা সংবিধান চিরস্থায়ী। সংবিধানকে পায়ের তলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় না। তৃণমূল নেত্রী ফের দাবি করেন, এসব কারণে আসন্ন ২০২৪ সালের ভোটে ওরা আর ফিরবে না। বাংলায় এসে ওরা স্লোগান দিয়েছিল, আবকি বার দোশো পার। এবার দেখুন দিল্লির পার্লামেন্ট ইলেকশনে ২০০-য় পার হবে না। যদি ২০০ আসন পেরয়, তাহলে তা খুব বিরাট ব্যাপার হবে।
কীভাবে হবে, মমতার দাবি, নির্বাচন কমিশন, তদন্তকারী এজেন্সি, আধা সামরিক বাহিনী, এমনকী ইভিএমে কারচুপি করে ভোট লুটের পরিকল্পনায় রয়েছে বিজেপি। মমতা এপ্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়েও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ নিয়ে তো একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছিল। ওরা সেকথা শোনেনি। ওরা কারও কথা শোনে না। কী ভাবে ওরা নিজেকে। ওরা হিমালয়ও নয়, কাশী-মথুরা-বৃন্দাবনও নয়। আজমিরও নয়, গুরুদ্বারও নয়।
মমতা বলেন, সে কারণে তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করেছে বিজেপির এই অপপ্রচার এবং মানুষের মনোভাব বুঝতে একটি সংযোগ যাত্রা করা হবে। ছোট ছোট সভা করে মানুষের কথা জানার চেষ্টা করা হবে।