কলকাতা : ঠিক যেমনটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল । ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট (Wb Civic Polls) শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেল । শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে । ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগর পুরনিগমের ভোটের (Wb Civic Polls) দিন ঘোষণা হয়েছিল । শনিবার কেবল মাত্র ভোট পিছিয়ে যাওয়ার খবরটুকুই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় কমিশন । বাকি কোনও তথ্যই আপাতত জানানো হয়নি । এ বিষয়ে পরে জানানো হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর ।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে একটু হলেও আতঙ্ক তৈরি করেছে । চিকিৎসকরা দূরত্ব বিধি মেনে চলার উপদেশ দিচ্ছেন বার বার । সেই পরিস্থিতি প্রথমে মুখ খোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । খোলাখুলি মনের কথা বলেছিলেন । জানিয়েছিলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া দরকার । এর পর বিজেপি-কংগ্রেস এবং তৃণমূলের তরফেও একই ভাবে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করতে শুরু করে । বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে ।
ততক্ষণে জনৈক বিমল ভট্টাচার্য ভোট পিছনোর দাবি নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করে ফেলেছেন । রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য সরকারকে একই সঙ্গে ডেকে পাঠায় আদালত । ভোট পিছনো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য প্রস্তাব দেয় কমিশন এবং রাজ্যকে । গত বৃহস্পতিবার আদালত নির্দেশ দেয় সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে ভোট করানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য । তার পরই শুক্রবার এবং শনিবার দফায় দফায় বৈঠক করে কমিশন । তার পরই শনিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি তারা । জানিয়ে দেয় ২২ জানুয়ারির ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি ।
আরও পড়ুন: Abhisekh Banerjee: অমলের ঘরে ফেরায় আপত্তি, অভিষেককে চিঠি উত্তর দিনাজপুরের ৭ বিধায়কের
এ দিন কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেবল মাত্র । বাকি বিষয়গুলির কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না । মোদ্দা কথা, মনোনয়ন জমা-প্রত্যাহার, প্রচার সংক্রান্ত বিধি, এগুলির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না । দরকারে, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে প্রচার সংক্রান্ত বিধি আরও কঠোর করা হতে পারে ।
স্বাভাবিক ভাবেই ভোট পিছনোর পরই আরও দুটি প্রশ্ন উঠে আসে । ফল প্রকাশ এবং পরবর্তী ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট । এই দুই বিষয় নিয়ে এখনই কোনও কথা কমিশনের তরফে জানানো হয়নি । যদিও, কমিশনের একটি সূত্র বলছে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফল প্রকাশ হতে পারে ১৫ ফেব্রুয়ারি । এবং ২৭ ফেব্রুরারি ভোট খুব সম্ভবত যথা সময় হতে পারে । একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতেই হচ্ছে । আগামী মাসে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা নিঃসন্দেহে ভোটের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ।