মস্কো: ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজিনি প্রিগোঝিন (Wagner Group Chief Yevgeny Prigozhin) যিনি ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি হয় মৃত না হলে জেলে রয়েছেন। আমেরিকার প্রাক্তন জেনারেল রবার্ট ব্রামস (Robert Abrams) সংবাদসংস্থার কাছে এই দাবি করেছেন। রাশিয়া (Russia) দাবি করেছে ভ্লাদিমির পুতিন মার্সিনারি গ্রুপের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিদ্রোহের পাঁচ দিন পরে। আমেরিকার ওই প্রাক্তন মিলিটারি আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা নিজের বিবেচনা হচ্ছে আর কোনও দিন প্রিগোঝিনকে প্রকাশ্যে দেখা যাবে কি না সন্দেহ। হয় তাঁকে জেলে রেখে দেওয়া হয়েছে। অথবা তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া জানিয়েছে, প্রিগোঝিন ও তাঁর বাহিনী ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছে এবং আনুগত্য প্রকাশ করেছে। ২৯ জুন এই বৈঠক হয়েছে। সেখানে ওয়াগনার বাহিনীর কমান্ডাররাও ছিলেন। এমনই জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ (Dmitry Peskov)।
সেখানে ওয়াগনার বাহিনীর কমান্ডাররা জানিয়েছেন, ইউক্রেনে তাঁরা দেশের জন্য লড়তে তৈরি। পুতিন সেখানে প্রিগোঝিনের সঙ্গে সামনা সামনি দেখা করেন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নেওয়ার পর ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ় কব্জা করে বিদ্রোহী ভাড়াটে বাহিনী। ওই এলাকা থেকে মস্কোর দূরত্ব প্রায় হাজার কিলোমিটার। এর পর মস্কোর দিকে আরও কয়েকশো কিলোমিটার এগিয়ে লিপেৎস্কেতে ঢুকে পড়ে তারা। এর পরেই দ্রুত সক্রিয় হয় পুতিন সরকার। আকাশপথে ওয়াগনার যোদ্ধাদের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে থাকা প্রিগোঝিনের (Yevgeny Prigozhin) বাহিনীর বিরুদ্ধে নামানো হয় নৃশংস চেচেন কমান্ডার রমজান কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীকে।
আরও পড়ুন: PM Modi in France | ফ্রান্সে পৌঁছলেন মোদি, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নৈশভোজে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেছিলেন রাশিয়ার বাহিনীদের এই বিদ্রোহ সিস্টেমের মধ্যে লড়াই। আমেরিকা বা তার সহযোগীরা এর সঙ্গে জড়িত নয়। ওয়াগনার বাহিনীর ‘সেনা অভ্যুত্থানে’ চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল রুশ প্রশাসনের কপালে। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলে পিছু হঠে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ক্রেমলিন থেকে প্রথমবার ভিডিও বার্তা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বললেন, চ্যালেঞ্জের মুখেও ভাল কাজ করছে রুশ সংস্থাগুলি। এদিকে পুতিনের চাপের মুখে রণে ভঙ্গ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে সোমবার এক অডিয়ো বার্তা দেন বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন। তিনি বলেন, রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।