জলপাইগুড়ি : ভোট বয়কটের (Vote Boycott) ডাক প্রত্যাহার করে সিপিএমে (CPIM) যোগদান মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দাদের। ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দারা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। শেষমেষ ওই এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা বৃহস্পতিবার সিপিএমে যোগ দিলেন। একইসঙ্গে তাঁরা ভোট বয়কটের ডাকও তুলে নেন। গ্রামের ৫২ টি পরিবারের মধ্যে ২০টি পরিবার সিপিএমে যোগ দিয়েছে। বাকি পরিবারগুলিও আগামিদিনে সিপিএমে যোগ দেবে বলে দাবি করেন স্থানীয় বাম নেতারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। পাকা রাস্তা নেই, বর্ষাকালে রাস্তা জল কাদায় ভরে থাকে। সিঙ্গিমারী নদীর উপর ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় লোকজনকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলপড়ুয়াদের। বর্ষাকালে নদীর জল ফুলে ফেঁপে ওঠে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের বিদায়ী বোর্ডকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন:Panchayat Election 2023 | Bongaon | TMC | BJP | বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে বোমা, সাদা থান, মালা!
পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হল গ্রামীণ উন্নয়ন। কিন্তু ধূপগুড়ির ওই প্রত্যন্ত গ্রামে উন্নয়নের কোনও আঁচই পড়েনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁদের ক্ষোভ, গ্রামে ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবাটুকুও মেলে না। এর জন্যই গ্রামের লোকজন বৈঠক করে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে ভোটের দুদিন আগে তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সিপিএমের উপর আস্থা রাখার কথা জানান। গ্রামের বাসিন্দারা একযোগে জানান, তাঁরা এবার সিপিএমকেই ভোট দেবেন।
ধূপগুড়ির তৃণমূল নেতারা অবশ্য মুন্ডাপাড়ার ওই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মুন্ডাপাড়ার ভোট তৃণমূলের পক্ষেই পড়বে। এলাকার উন্নয়ন না হওয়ার দায়ে তৃণমূল নেতারা বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ বিজেপিরই। তৃণমূলের অভিযোগ, সাংসদ কিংবা বিধায়ককে কখনও এলাকায় দেখা যায় না। ধূপগুড়ির বিজেপি নেতারা তৃণমূলের দাবি মানতে রাজি নন। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দাদের এই সিদ্ধান্তে শাসকদল খানিকটা অস্বস্তিতেই পড়ল।