উত্তরপ্রদেশ: উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের ভোটেও বিজেপি ঝড়। ৩৬ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩৩ টি। দুটি পেয়েছে নির্দল প্রার্থীরা। একটি আসন পেয়েছে জনসত্তা দল। সমাজবাদী পার্টির ভাগ্যে একটি আসনও জোটেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুদামা প্যাটেল। তাঁকে হারিয়েছেন বাহুবলি ব্রিজেশ কুমার সিংয়ের স্ত্রী অন্নপূর্ণা সিং। ব্রিজেশ এখন জেলে।
উত্তরপ্রদেশে বিধান পরিষদে এখন ১০০ টি আসন। ৩৬ টি আসন শূন্য ছিল। সেই আসনগুলিতে সম্প্রতি ভোট হয়। আগেই বিজেপি নটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। বাকি ২৭ টি আসনের ভোট গণনা হয় মঙ্গলবার । কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। বিধান পরিষদের ভোটে ৩৩ টি আসনে জেতার পর দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল বিজেপি। এক দশকের মধ্যে এই প্রথম বিজেপি দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
বারাণসীতে বিজেপি প্রার্থী সুদামা প্যাটেল তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ২০১৬ সালের ভোটে এখানে বাহুবলি ব্রিজেশ কুমার নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। বিজেপি সেবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে কার্যত ব্রিজেশকে ওয়াকওভার দিয়ে দেয়। এবার অবশ্য বিজেপি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের এই শহরে প্রার্থী দেয়। শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রের লড়াইকে তারা প্রেস্টিজ ফাইট হিসেবে দেখেছিল।
বিধানসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী এখন উত্তরপ্রদেশে প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি একটি আসনেও জিততে পারেনি। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কাফিল খান। ২০১৭ সালে গোরক্ষপুর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে অসংখ্য রোগীর মৃত্যুতে কাফিলের নাম জড়িয়েছিল। তা নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক হয়। কাফিল হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। যোগী সরকার তখন তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল। এখনও কাফিলের আইনি লড়াই চলছে।
কিছুদিন আগেই বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টি ১১১ টি আসন পায়। সেই প্রধান বিরোধী দলের বিধান পরিষদের ভোটে একটি আসনও না পাওয়া রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগের সরকারে আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবে। এবার তিনি নিজের গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে এমএলএ হয়েছেন। তিনি এমএলএ হিসেবে ভোট দেন। সেখানেও জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী। ফলে দলে এবং সরকারে তাঁর কর্তৃত্ব আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ধুন্ধুমার, আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি