কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গত দুই বছরে হেফাজতে মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পশ্চিমবঙ্গের। তার পরে রয়েছে বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের নাম। ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, ২০২০-২০২১ সালে দেশের ৩৭টি রাজ্যে হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৪০ জনের। আর ২০২১-২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা ২৫৪৪ জনের। লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দুই বছরে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫১ এবং ৫০১। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পস্চিমবঙ্গে ২০২০-২১ সালে হেফাজতে মারা গিয়েছে ১৮৫ জন এবং ২০২১-২২ সালে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫৭ জনের। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পুলিসের সঙ্গে এনকাউন্টারে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০২১-২২ সালে সেখানে ৪৫ জন মারা গিয়েছে এনকাউন্টারে। ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ সালে সারা দেশে পুলিসি এনকাউন্টারে যথাক্রমে মৃত্যু হয় ৮২ এবং ১৫১ জনের। মন্ত্রী জানান, এনকাউন্টারে মৃত্যুর তালিকায় জম্মু ও কাশ্মীরের পরেই ছত্তিশগড়ের স্থান। সেই তুলনায় উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম।
আরও পড়ুন: Hero Alom: বাংলাদেশ পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হিরো আলম
বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার হেফাজতে মৃত্যু এবং এনকাউন্টারে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখিয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি বিরোধীদের। মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের সপ্তম তপসিল অনুযায়ী পুলিস ব্যবস্থা রাজ্যের তালিকাভুক্ত। তাই নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির। কেন্দ্রের আরও অভিযোগ, অনেক রাজ্য সরকার নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করে না। আবার কিছু কিছু রাজ্যে মানবাধিকার কমিশনকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে কলকাতার গল্ফগ্রিন থানায় পুলিসি অত্যাচারে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। কোনও পরোয়ানা ছাড়াই দীপঙ্কর সাহা নামে ৩৩ বছরের ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিস। বাড়িতে এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর নিতম্ব এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়।