কাবুল: কয়েক দিন আগে ঘটে যাওয়া ভয়ানক বিস্ফোরণের স্মৃতি ফিরে এল কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে। রবিবার বিকেলের দিকে আচমকা শোনা গেল বিকট শব্দ। সেই সঙ্গে দেখা গেল ধোঁয়া। বুঝতে বাকি থাকল না ফের ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ আরও এক বিস্ফোরণ। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ্যে না এলেও মনে করা হচ্ছে যে জঙ্গিদের নিশানায় ছিল মার্কিন এবং ব্রিটিশ বিমান।
তালিবান দখলে যাওয়া আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশ। উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনেক আফগান নাগরিককেও। সেই কারণে বিমানবন্দরে থাকছে বিভিন্ন দেশের বিমান। যাদের মধ্যে আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের বিমান জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর সেই সন্দেহের পিছনে রয়েছে নানাবিধ কারণ। যদিও ওই দুই রাষ্ট্রের কোনও বিমানের ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন- আমেরিকার ড্রোন হামলার বদলা? কাবুল বিমানবন্দরের কাছে মিসাইল ছুড়ল জঙ্গিরা
এ দিন বিকেলের দিকে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একটি জনবসতি এলাকায় ঘটে রকেট হামলা। ক্ষতি হয় একটি বাড়ির। সেই বাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু বিমানবন্দরের বাইরে ঘটা বিস্ফোরণ থেকে ছড়িয়েছে নয়া আশঙ্কা। কারণ ওই রকেট দ্বারা তিন কিলোমিটার দূরে লক্ষ্য বস্তুকে আঘাত করা সম্ভব। বিমানবন্দরের বাইরে যে বাড়িটিতে হামলা হয়েছে সেখান থেকে তিন কিলোমিটারের কম দূরত্বের মধ্যেই ছিল মার্কিন বিমান।
বিস্ফোরণের পর ৷
অন্যদিকে, বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্তে আগে রানওয়ে থেকে শূন্যে ওড়ে একটি ব্রিটিশ বিমান। যেখানে ১১৫০ জন যাত্রী ছিলেন। যাঁদের মধ্যে এক হাজার জন আফগান নাগরিক। তালিবান আতঙ্কে দেশ ছাড়ছিলেন। বিমান উড়তেই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ঘটে ওই বিস্ফোরণ। ব্রিটিশ বিমান ওড়ার এবং বিস্ফোরণের সমতের ব্যবধান এতটাই কম ছিল যে বিমানের যাত্রীরা ওই রকেট হামলা দেখেছেন। অনেকে ভিডিও রেকর্ড করে তা পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন- গণতন্ত্র রক্ষায় সংবাদের মান ও সত্যতায় গুরুত্ব বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
মনে করা হচ্ছে যে ওই দুই বিমানের কোনও একটি ছিল হামলার লক্ষ্য। কিন্তু কোনও কারণে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। যার ফলে রকেট হামলার শিকার হয়েছে কাবুল বিমানবন্দর লাগোয়া একটি একটি বাড়ি। দিন চারেক আগে কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের পরেই ফের নাশকতা হতে পারে বলে জনিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।