ওযাশিংটন: রাশিয়ার ওয়াগনার বিদ্রোহে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। সিআইএ (CIA) প্রধান ক্রেমলিনকে (Cremlin) এই তথ্য জানিয়ে দিলেন। রাশিয়ার (Russia) ওয়াগনার বাহিনী গত সপ্তাহে বিদ্রোহ করেছিল। আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস (William Burns) রাশিয়ার স্পাই প্রধান সের্গেই নারিশকিনকে (Sergei Naryshkin) এই তথ্য জানিয়েছেন। বার্নসের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে নারিশকিনের। ওই বিদ্রোহের পর এই প্রথম দুই সরকারের শীর্ষ স্তরে ফোনে কথা হল।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নেওয়ার পর ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ় কব্জা করে বিদ্রোহী ভাড়াটে বাহিনী। ওই এলাকা থেকে মস্কোর দূরত্ব প্রায় হাজার কিলোমিটার। এর পর মস্কোর দিকে আরও কয়েকশো কিলোমিটার এগিয়ে লিপেৎস্কেতে ঢুকে পড়ে তারা। এর পরেই দ্রুত সক্রিয় হয় পুতিন সরকার। আকাশপথে ওয়াগনার যোদ্ধাদের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে থাকা প্রিগোঝিনের (Yevgeny Prigozhin) বাহিনীর বিরুদ্ধে নামানো হয় নৃশংস চেচেন কমান্ডার রমজান কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীকে।
আরও পড়ুন: শরণার্থীদের আটকাতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ঋষি সুনক সরকার, কী সেই পদক্ষেপ জেনে নিন
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সোমবার বলেন, রাশিয়ার বাহিনীদের এই বিদ্রোহ সিস্টেমের মধ্যে লড়াই। আমেরিকা বা তার সহযোগীরা এর সঙ্গে জড়িত নয়। ওয়াগনার বাহিনীর ‘সেনা অভ্যুত্থানে’ চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল রুশ প্রশাসনের কপালে। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলে পিছু হঠে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ক্রেমলিন থেকে প্রথমবার ভিডিও বার্তা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বললেন, চ্যালেঞ্জের মুখেও ভাল কাজ করছে রুশ সংস্থাগুলি। এদিকে পুতিনের চাপের মুখে রণে ভঙ্গ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে সোমবার এক অডিয়ো বার্তা দেন বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন। তিনি বলেন, রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম। তবে রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাঘাত করতে অডিয়ো বার্তায় নির্দেশ দিয়েছেন।