কেশপুর: ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেশপুর (Keshpur) পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল তৃণমূল (TMC)। সমিতির ৪৫টি আসনের মধ্যে ৩০ টিতে কোনও বিরোধী প্রার্থী না থাকায় সেগুলিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ভোট হবে বাকি ১৫ টিতে। এর মধ্যে বিজেপির (BJP) প্রার্থী রয়েছে ১৩ আসনে, সিপিএম (CPIM) চারটি এবং কংগ্রেস (Congress) একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল জয়ের উল্লাসে মেতেছে। শুরু হয়েছে সবুজ আবিরের খেলা।
বাম জমানায় কেশপুরে একচ্ছত্র দাপট ছিল সিপিএমের। বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারত না। কোনও ভোটেই তখন বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়ার মত সাহস ছিল না। ২০১১ সালে পালা বদলের পর কেশপুরের ছবি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন কেশপুরে তৃণমূলই শেষ কথা। তবুও এবার বামেরা কিছু কিছু আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। পঞ্চায়েত সমিতির যে ১৫টি আসনে ভোট হতে চলেছে সেখানে আদৌ মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। যদিও মনোনয়ন পর্বে কেশপুরে এবার বড় ধরনের কোনও গোলমাল হয়নি।
তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি প্রদ্যুত পাঁজা বলেন, বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি বলে সব আসনে মনোনয়ন দিতে পারেনি। আমরা তো আর বিরোধী দলের প্রার্থী ঠিক করে দিতে পারি না। বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি বলেই ৩০টি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে।