বেলগোরদ: এতদিন একতরফা মার খেয়ে এসেছে ইউক্রেন (Ukraine air strike)। প্রতি আক্রমণে না গিয়ে, দেশের মাটিতে রুশ হামলা কী করে প্রতিহত করা যায়, সেই চেষ্টাই করে এসেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী (Russia Ukraine War)। ইউক্রেনের প্রতি প্রান্তে পুতিন বাহিনী একরকম ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও সংযত থাকে ইউক্রেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে, এ বার কিন্তু পালটা আক্রমণের পথ বেছে নিল ইউক্রেন (Ukrainian border)। রাশিয়ার বেলগোরদ শহরে তেল ডিপো লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। যার জেরে জ্বলছে বেলগোরদ শহরের ওই তৈল ভাণ্ডার (Belgorod Oil depot fire)। হামলা চালানোর কথা যদিও স্বীকার করেনি ইউক্রেন। তবে, সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো ক্লিপিংয়ে পরিষ্কার ধরা পড়েছে সেখানে রকেট আছড়ে পড়ছে। রুশ সংবাদমাধ্যমেও দাবি করা হয়, ইউক্রেনই এই হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার বেলগোরদ শহরটি ইউক্রেনের উত্তর সীমান্ত ঘেঁষা। পাঁচ সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বাধলে, খারকিভে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফেরার আগে এই শহরেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ বার প্রতি আক্রমণের জন্য এই রুশ শহরটিকেই বেছে নিল ইউক্রেনীয় সেনা।
Video shows moment oil depot in Russia's Belgorod is hit by rockets, allegedly fired from Ukrainian helicopters pic.twitter.com/g63q225R1Q
— BNO News (@BNONews) April 1, 2022
আরও পড়ুন Jhalda Murder: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে বেলগোরদ শহরে তেলের ডিপোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। বিভিন্ন সূত্রে দাবি, স্থানীয় সময় ভোর ৬ নাগাদ এই হামলা চালানো হয়েছে। বেলগোরদ শহরের আঞ্চলিক গভর্নর ভিয়াচেসলভ গ্লাদকভ অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের সামরিক হেলিকপ্টার থেকেই রকেট হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই তেল ডিপোর আশপাশ থেকে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দু-দিন আগে এই এলাকারই একটি অস্ত্রাগারে বিস্ফোরণের ঘটানোর অভিযোগ উঠেছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন Srilanka Crisis: জ্বালানির অভাবে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং, প্রতিবাদে পথে কলম্বোবাসী
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি বৈঠকের পর অনেকেই মনে করেছিলেন যুদ্ধ বন্ধ হতে চলেছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতাকারীরা বৈঠক ফলপ্রসূ বলে দাবি করেছিলেন। রাশিয়ার তরফে রাজধানী কিভ ও চেরনিহিভ শহরের আশপাশ থেকে সেনাবহর কমানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এ দিন ইউক্রেনের প্রতি আক্রমণে আপাতত যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত নেই।