মুম্বই ও নয়াদিল্লি: ‘ডার্বি ম্যাচে’ ফের হার উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray)। মহারাষ্ট্র বিধান ভবনে ঘরছাড়া হওয়ার পর এবার সংসদ ভবনের (Parliament House) সংসদীয় অফিস (Parliamentary Office) হাতছাড়া হল শিবসেনার ঠাকরে গোষ্ঠীর। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট শিবসেনার নাম ও প্রতীক (Shiv Sena Name and Party Symbol) নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর আর্জির শুনানি আগামিকাল সাড়ে ৩টের সময় ধার্য করেছে।
নির্বাচন কমিশন শিবসেনার নাম ও প্রতীক মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) গোষ্ঠীকে দেওয়ার পর থেকেই ‘তির-ধনুকের’ লড়াই চলছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে কুকথার অস্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শেষে কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় উদ্ধব শিবির। এরই মাঝে এদিন লোকসভার সচিবালয় থেকে সংসদ ভবনের শিবসেনার দফতর ১২৮ নং ঘরটি শিন্ডে গোষ্ঠীকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: চন্দনকে টানা জেরা, মিলল ১০ কোটির খোঁজ
এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল টিম ঠাকরের হয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। তিনি অভিযোগ করেন, উদ্ধব ঠাকরের অফিস এবং দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি দখল করা হয়েছে। শিন্ডের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি জবাবে বলেন, তাঁরা এর ব্যাখ্যা কাল দিতে পারবেন।
দলের নাম ও প্রতীক ফেরত পাওয়ার চারদিনের মাথায় আজই সন্ধ্যায় সেনার জাতীয় কার্যকরী সমিতির বৈঠক ডেকেছেন শিন্ডে। সেখানে তাঁর গোষ্ঠীর বেশ কিছু স্থানীয় নেতাকে নতুন করে পদাধিকার দেওয়া হবে। কর্মী-সমর্থকদের উপর শিন্ডের প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রমাণ এবং বিরোধী শিবিরের সামনে শক্তি প্রদর্শন করতেই এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পর্বের লড়াইয়ের শুরু থেকেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর ছায়াসঙ্গী সঞ্জয় রাউত বিজেপিকে দুষে চলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ করে উদ্ধব ঠাকরে অনিল কাপুর অভিনীত মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমার ‘ভিলেন’ অমরীশ পুরী অভিনীত মোগাম্বো চরিত্রের বিখ্যাত সংলাপ মোগাম্বো খুশ হুয়া বলে কটাক্ষ করেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর শাহ বলেছিলেন, ‘দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হো গ্যয়া’। তার জবাবেই ঠাকরে এই মন্তব্য করেন।
এর আগে সঞ্জয় রাউতও বিজেপিকে একহাত নেন। রবিবার তিনি দাবি করেন, শিবসেনা দলের নাম ও তির-ধনুক প্রতীক (Symbol) কিনতে ২ হাজার কোটি টাকার রফা হয়েছে। রাউত এক টুইটে দাবি করেন, ২ হাজার কোটি টাকার ডিল তো একটা প্রাথমিক অঙ্ক এবং ১০০ শতাংশ সত্যি। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, তাঁর কাছে যা খবর আছে, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক বিল্ডার এই টাকা দিয়েছেন। তাঁর এই দাবির সত্যতা খুব শীঘ্রই তিনি ফাঁস করবেন বলেও জানান রাজ্যসভার এই সদস্য।