উদয়পুর: রাজস্থানের উদয়পুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে পাক যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। রাজস্থান পুলিসের প্রধান জানান, ধৃত গউস মহম্মদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী দাওয়াত-এ-ইসলামি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তার ফোনে অন্তত ১০টি পাকিস্তানি ফোন নম্বরও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিসের অন্য একটি সূত্রের খবর। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গউস পাকিস্তানি জঙ্গি প্রশিক্ষণও নিয়েছিল। সে ভারতে স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাদের অভিযোগ, রাজস্থান এখন বিভিন্ন পাক-জঙ্গি গোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে রাজস্থানে। অথচ সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। পাল্টা জবাবে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, মোটেই হাত গুটিয়ে বসে নেই রাজস্থান সরকার। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: Udaypur Murder: উদয়পুরে খুনের ঘটনায় আজ সন্ধেয় সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট মঙ্গলবার রাতেই তদন্তের জন্য পুলিসের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন। তিনি বলেন, এর পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে কি না, তদন্তকারী দল তাও খতিয়ে দেখবে। রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয় এনআইএ-কে। সাধারণত এধরনের ঘটনায় কোনও জঙ্গি যোগাযোগের সম্ভাবনা থাকলেই এনআইএ তদন্ত করে থাকে। যেভাবে দুই যুবক নিহত কানাইহালালের টেলারিং শপে এসে জামার মাপ দেওয়ার অছিলায় নৃশংসভাবে তাঁর মাথা কেটে খুন করেছে, তাতে সন্ত্রাসবাদী যোগাযোগ থাকাটা অসম্ভব কিছু নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আইসিস, তালিবান বা অন্য কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী যে নৃশংস কায়দায় মানুষকে খুন করে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের। এই কারণেই এই ঘটনাকে খাটো করে দেখা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ঘটনাটি নিঃসন্দেহে খুবই বড়।