আগরতলা: জমে উঠেছে ত্রিপুরা নির্বাচন (Tripura Election)। উত্তর পূর্বের ছোট্ট রাজ্যটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করে লড়াই করছে সিপিএম ও কংগ্রেস। শনিবার এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ত্রিপুরা। সেখানে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীরচন্দ্র বর্মন (Samir Chandra Burman) ও সিপিএমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে (Manik Sarkar) একইসঙ্গে মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাঁদের এই জোট। মানিক সরকার সমীরচন্দ্র বর্মনের কাঁধে হাত দেয় মিছিলে হাঁটতেও দেখা গিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ওই রাজ্যে বিবদমান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যেত তাঁদের।
এদিনই ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের (Tripura Assembly Vote) গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। এবার মনোনয়ন (Nomination) জমা দেওয়া যাবে। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি। ১৬ তারিখ ৬০টি আসনে একই দিনে ভোট হবে।
আরও পড়ুন: NIA Charge Sheet: চাঞ্চল্যকর দাবি জাতীয় তদন্ত সংস্থার, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতে ইসলামি শাসন কায়েম!
নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শাসক-বিরোধীদে্র মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে ত্রিপুরায়। মজলিসপুর বিধানসভা (Majlispur) কেন্দ্রের অন্তর্গত রাণীবাজার (Ranibazar) এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরকম বিভিন্ন জায়গায় ওই ঘটনার রিপোর্ট আসছে। যার ফলে কিছু কিছু জায়গায় উত্তেজনা রয়েছে। ত্রিপুরায় সরকারে আছে বিজেপি। এই বিধানসভা ভোট আগামী লোকসভা ভোটের (Loksava) আগে কার্যত সেমি ফাইনাল। ফলে এখানে সরকারে আসতে মরিয়া বিজেপি। ত্রিপুরায় মাঝপথে দলের তরফ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন করা হয়েছিল। বিজেপির কাছেও এটা একটা মেগা লড়াই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সভা করছেন এখানে নির্বাচনের দিন ঘোষণার অনেক আগে থেকেই। বিরোধীরাও (Opposition) ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একদা বিবদমান দুই পক্ষ দুই দলের মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে মিছিলে হেঁটে বিজেপিকে হটানোর ডাক দিয়েছে। বিরোধীরা ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র বাঁচানোর। সেজন্য মিছিলে দেখা গিয়েছে, প্ল্যাকার্ডে লেখা আমার ভোট, আমার অধিকার। হিংসা মুক্ত্ নির্বাচন চাই। এই নির্বাচনে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। দফায় দফায় ঘাসফুল শিবিরের নেতারা এই রাজ্যে গিয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ত্রিপুরার ভোটের লড়াই।