শ্রীনগর: ফের জম্মুর আকাশে সন্দেহভাজন ড্রোনের দেখা মিলল। এই নিয়ে টানা চারদিন ভারতীয় সেনাঘাঁটি লাগোয়া এলাকায় ড্রোন উড়তে দেখা গেল। চারদিনে ৭টি সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলায় জম্মুতে সেনাঘাঁটিগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। উপত্যকাজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বুধবার ভোরে জম্মুর কালুচক ও কুঞ্জওয়ানিতে ভারতীয় সেনার ঘাঁটিগুলির কাছে ড্রোনের দেখা মেলে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলি গায়েব হয়ে যায়।
এর আগে সোমবার রাত দেড়টা থেকে ভোর চারটের মধ্যে কালুচকে সেনাঘাঁটির কাছে ড্রোন দেখা যায়। রাতের অন্ধকারে ফের ড্রোনের মাধ্যমে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। ড্রোনের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাহিনী। কাশ্মীরের পুলিশের আইজি বিজয় কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুবই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি দিয়েই এর মোকাবিলা করতে হবে। উপত্যকায় সর্বত্র হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন জায়গাগুলিতে সতর্ক রয়েছে সেনা।
আরও পড়ুন: ড্রোন হামলার ছায়ায় শাহ-দোভালের সঙ্গে জরুরি বৈঠক মোদির
রবিবার রাতে জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল। জওয়ানরা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালালে সেগুলি গায়েব হয়ে যায়। তার আগে শনিবার রাত ১টা ৩৭ মিনিটে এবং ১টা ৪২ মিনিটে জম্মু বিমানবন্দরে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোন থেকে বোমা ফেলে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। হেলিকপ্টার পার্কিং এরিয়ায় বিস্ফোরণ দুটি হয়। রবিবারও রাতে জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়।তারপর সোম, মঙ্গল- লাগাতার দু’দিন জুম্মুর আকাশে ড্রোনের আলাগোনায় চিন্তার ভাঁজ সেনার কপালে।
উপত্যকায় ড্রোন হামলা নিয়ে মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল৷ উপত্যকায় ড্রোন হামলা নিয়ে অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং অজিত দোভালের সঙ্গে সবিস্তারে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কী কী উপায়ে ড্রোন হামলা ঠেকানো যায় তা সকলের কাছে ইনপুট চান প্রধানমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: খবরের জের, সাহায্য পেল বাসুদেব বাউল
এবিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে আধুনিক করে তোলা গেলে নয়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব৷ ড্রোন হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্ণেল দেবেন্দ্র আনন্দের গলাতেও৷ তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সেনাবাহিনী সবসময় সজাগ থাকে৷ তাই বড়সড় হামলা এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷’ কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং জানান, এই হামলার পিছনে লস্কর জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে৷