ইম্ফল: মণিপুর দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর এবং শারীরিক নির্যাতনে মূল অভিযুক্তর বাড়ি জ্বালিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। কংপোকপি গ্রামে শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। বুধবার একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে নৃশংস এক দৃশ্য। যেখানে গণধর্ষিতা দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটাচ্ছে একদল যুবক। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। এর বিরুদ্ধে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
নারী নির্যাতনের এহেন বর্বর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোটা বিশ্ব। মুখ পুড়েছে দেশের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত মণিপুর নিয়ে তাঁর মৌনী ভেঙেছেন। তখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সাফাই দিয়ে বলেন, হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে প্রায় ৬ হাজার এফআইআর হয়েছে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই পুলিশ এই কেসটার খোঁজে নেমে পড়ে। মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজনের মধ্যে একজন হল ৩২ বছরের হুইরেম হিরোদাস মেইতি। অন্যদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Manipur Video | মণিপুরে নারী নির্যাতনের এফআইআরে ৬২ দিন ধরে ধুলো জমেছে, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
উল্লেখ্য, গত ৩ মে মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পরদিন এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু গতকাল, বুধবার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধী দলগুলি মারমুখী হয়ে উঠেছে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে।
মণিপুর নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টও। গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতে বলেছে আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই মামলাটির শুনানি আজ শুক্রবার হবে। সেখানে সরকারকে জানাতে হবে তার কী ব্যবস্থা নিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বৃহস্পতিবার হিংসা ছড়ানোর পর প্রথমবারের জন্য মণিপুর শব্দটি মুখে এনে এই ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, মণিপুরের ঘটনা গোটা দেশের মাথা লজ্জায় হেঁট করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়ে দিয়েছেন, মণিপুর নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সরকারে তরফেও জবাব দেওয়া হবে।