পুরুলিয়া: আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও এখনও তাদের নাম জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের। সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এলাকায়। আদ্রা স্টেশনের কাছে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। এই খুনের পিছনে শুধু কি রাজনৈতিক কারণ নাকি পুরনো শত্রুতা আছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ইতিমধ্য়ে ধনঞ্জয়ের মৃতদেহ আনা হয়েছে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তের পর তৃণমূলের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নিহতের দাদা আনন্দ চৌবে ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে ধনঞ্জয়কে।
গতকাল সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার (Purulia) আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিস কনস্টেবল। তাঁর চিকিৎসা চলছে। জনবহুল আদ্রা শহরে এমন গুলি করে খুনের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এ নিয়ে গত দু সপ্তাহে মোট ৯টি রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: Body Recovered | সাতসকালে কলকাতায় উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ, চাঞ্চল্য এলাকায়
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্য়ায় আদ্রার পার্টি অফিসে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়ন পরবর্তী বিষয় এবং প্রচার নিয়ে বৈঠক করছিলেন টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ধনঞ্জয়। সেই সময় আকস্মিকভাবে কয়েকজন দুষ্কৃতী তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে ধনঞ্জয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ধনঞ্জয়। গুলি লাগে ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষীর গায়ে। দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় রঘুনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় ধনঞ্জয়ের।