মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণছাঁটাই চালাচ্ছে টুইটার, তার রেশ পড়েছে ভারতেও। খবর ছিল, শুক্রবারই জনপ্রিয় এই মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইটের (Micro-Blogging Website) কর্মীরা গণছাঁটাই হতে চলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) পাশাপাশি সারা বিশ্বে টুইটারের (Twitter) যত অফিস রয়েছে, সব জায়গাতেই কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। সেই তালিকায় ভারতও রয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, টুইটারের ভারতীয় কার্যালয়ের বিপণন এবং যোগাযোগ দফতরের (Marketing and Communications Departments) সমস্ত কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক গত ২৭ অক্টোবর ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটারের মালিকানা চুক্তি সম্পন্ন করেন। তারপরেই তিনি টুইট করে জানিয়ে দেন, টুইটারের গোটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই তিনি বদলে দেবেন। সমস্ত বোর্ড মেম্বারকে ছাঁটাই করার পাশাপাশি নিজের হাতেই কোম্পানির দায়িত্ব তুলে নেন টুইটার কর্ণধার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালকে দিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ে এই ইনিংস শুরু করেছেন মাস্ক। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে, কে থাকবেন আর কে থাকবেন না। সেই মতোই এদিন থেকে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছে। টুইটার থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর সেই খবর অনেকেই টুইট করেই জানিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে অনেকেরই চাকরি যায়নি। যদিও সেই সংখ্যাটা কম। সতীর্থদের চাকরি যাওয়ায় তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: Bipasha Basu: ম্যাটারনিটি ফটোশুটে বডি পজিটিভিটির বার্তা দিলেন বিপাশা
ভারতে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে টুইটার ইন্ডিয়াকে (Twitter India) জানতে চাওয়া হলেও, প্রাথমিক অবস্থায় তাঁরা নিশ্চুপ রয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে আরও কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে বিশ্বের সর্বত্র। টুইটারের সিস্টেম এবং কাস্টোমার ডেটার সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে টুইটারের সমস্ত অফিস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেরই ব্যাজ অ্যাকসেস আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য, মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণ করার সময় সারা বিশ্ব জুড়ে টুইটারের কর্মী সংখ্যা ছিল সাড়ে সাত হাজার। টেসলা কর্ণধার এলন মাস্ক (Elon Musk) সেই সংখ্যা একধাক্কায় কমিয়ে এনে পরিকাঠামো খাতে বছরে এক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, টুইটার এতদিন যে পথে চলে এসেছে, সেই পরিচালন পদ্ধতিকেই বদলে ফেলতে চান মাস্ক। অনলাইনে সংবাদমধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে টুইটারের বড় ভূমিকা রয়েছে। এদিকে, ভারত সহ বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে ফ্রিডম অব স্পিচ ইস্যুতে সংঘাত বেঁধেছে টুইটারের। কিন্তু যে সমস্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও বক্তব্য না রাখেন।