কলকাতা: এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডার্বি (Derby) আয়োজিত হতে চলেছে শনিবার। মরসুমের প্রথম ডার্বির আগে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। আগামীকাল বিকেল ৪:৪৫ মিনিটে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মুখোমুখি শহরের দুই প্রধান ক্লাব। ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohan Bagan Super Giant)। তার আগে কতটা প্রস্তুত দুই দল? টানা আটটি ডার্বি জেতায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বাগান শিবির। এছাড়াও ডুরান্ডের (Duran Cup) প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছেন হুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) ছেলেরা। অন্যদিকে পুরো উল্টো ছবি ইস্টবেঙ্গলের। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ২-২ ড্র করেছে লাল-হলুদ বাহিনী। সমর্থকরা শেষ ডার্বি জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। দলের মূল স্ট্রাইকার ক্লেটল সিলভা শহরে পা রাখছেন ডার্বির দিন সকালে। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) রণনীতি কী হতে পারে?
ডার্বির আগের দিন (শুক্রবার) যুবভারতীতে সাংবাদিক সম্মেলন সারলেন কুয়াদ্রাত। আগামীকালের হেভিওয়েট ম্যাচকে কেন্দ্রে করে তিনি বললেন, “আমরা নতুন করে দলটাকে তৈরি করছি। দলের সবাই প্রায় নতুন। মোহনবাগান ইতিমধ্যে দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। আমার পেয়েছি ১ পয়েন্ট। তবে ৩ পয়েন্টের জন্যই লড়াই করবে দল।” ক্লেটন সিলভাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলেন, “ওঁ আগে ডার্বি খেলেছে, তাই ওঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভেবে দেখা হচ্ছে কাল মাঠে নামানো হবে কি না।” তবে মোহনবাগানের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে রণকৌশলের বিষয় মুখ খুললেন না ইস্টবেঙ্গলের নতুন হেডস্যার। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের যথেষ্ট ফিটনেসের অভাব রয়েছে। একই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কার্লেস। ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলতে পারবেন এমন ৬ ফুটবলার বেছে রাখছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ঘরের ছেলে’ ধোনির অনুরোধ নাকচ করে দিল তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন!
২০১৯ সালের আই লিগের ডার্বিতে শেষবারের মতো মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই সেই ডার্বির আয়োজন করা হয়েছিল। চার বছর ধরে ডার্বি জয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত লাল-হলুদ সমর্থকরা। ২০২০ সালের আই লিগেরই দ্বিতীয় ডার্বি ২-১ ব্যবধানে জেতে মোহনবাগান। এরপর আইএসএলের টানা ৬টি ডার্বি জেতে তারা। এমনকী ২০২২ সালে ডুরান্ডের ডার্বিতেও জয় পায় সবুজ-মেরুন বাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও পজিটিভ মনোভাবের সঙ্গে মাঠে উপস্থিত থাকতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গলের ভক্তরা। টানা আটটি ডার্বি হেরেও যুবভারতী স্টেডিয়াম ভরিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে তারা। টিকিট নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে তা প্রমাণ করে দিচ্ছে শহরের বুকে এখনও ডার্বির উচ্ছ্বাস এখনও বেঁচে রয়েছে। ম্যাচের পর হয়ত এক পক্ষ হাসবে, আর এক পক্ষ কাঁদবে। তবে ইস্টবেঙ্গল-মোহবাগান সমর্থকরা মাঠে যাওয়া ভুলে যাবেন না।