আগরতলা: একাধিকবার প্রশাসনিক অনুমতি মেলেনি। এরপরে চলতি সপ্তাহের বুধবার ত্রিপুরায় পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল(TMC)। পদযাত্রা করার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee)। তারপরেই করোনার অজুহাতে সকল প্রকারের সভা-সমিতি বা জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপাল রাজ্য সরকার। আর সেই সরকারি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকেই সবুজ সংকেত দিয়েছে আদালত।
২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। আর ১৯ তারিখ ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি কড়া নির্দেশিকা জারি কড়া হয়। সেখানে খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার কোথাও সভা-সমিতি বা জনসমাবেশ করা যাবে না। মূলত করোনা ঠেকাতেই এই নির্দেশিকা। আগামী দীপাবলি পর্যন্ত ওই নির্দেশিকা বহাল থাকবে বলে জানানো হয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।
সেই সঙ্গে সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয় যে সাম্প্রতিক অটিতে নানাবিধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। যার কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এই সকল কারণেই জন্যেই জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক রাজীব দত্ত। নির্দেশিকা অনুযায়ী, বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারাও জারি কড়া হয়েছে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে। যা জারি থাকছে আগামী নভেম্বর মাসের চার তারিখ পর্যন্ত।
এদিনই আগরতলা হাইকোর্টের পক্ষ থেকেও সমতুল নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের চার তারিখ পর্যন্ত সমগ্র ত্রিপুরা জুড়ে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা কার্যত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার উপরেই সবুজ সংকেত দেওয়ার সমতুল।
ভিড়ের মাঝে মাস্ক ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব। ছবি সৌজন্যে- টুইটার
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ১৯ তারিখেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বড় জনসমাবেশে হাজির ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ভিড়ের মাঝে অনেকের কাছে চলেও যান তিনি। সেই ভিড়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-সহ অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। আর ২০ তারিখে সরকারের পক্ষ থেকে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। ঘাস ফুল শিবিরের বক্তব্য, “মাস্ক ছাড়া ভিড়ের মাঝে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কী করোনাকে ভয় পাচ্ছেন? তিনি কেবলমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছেন।”
এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৮৪ হাজার ৫৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসেবে এই মুহূর্তে ওই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের অ্যাক্টিভ কেস ৩৪৬। গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে যে দৈনিক ১৪ জন করে ত্রিপুরাবাসী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।