আগরতলা: চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার, ত্রিপুরায় পুরভোট। তবে, লড়াইয়ের ভরকেন্দ্র আগরতলা। তৃণমূলের পাখির চোখও রাজ্য রাজধানী। যে কারণে আগরতলার পুরভোটে সবক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের প্রচারে বারবার বাধা পেয়ে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলে, পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শীর্ষ আদালত তৃণমূলের আবেদনে সাড়া দেয়নি। তবে, হিংসার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলায়, ভোটের দিন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভোট যে নির্বিঘ্নে মিটবে না, আঁচ পেয়েছে কমিশন। তাই কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যকে মুড়ে ফেলা হল। পুরভোটের একদিন আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২০টি থানার ৬৪৪টি বুথের মধ্যে ৩৭০টি বুথকে অতিসংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ২৭৪টি বুথ। এর মধ্যে আগরতলার সবক’টি বুথই সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগরতলা হাইকোর্টের নির্দেশে সেনসিবিলিটি ম্যাপিংয়ের পরই ওই ঘোষণা করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত মমতার
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অতি সংবেদনশীল বুথে ৫ জন টিআরএস জওয়ান মোতায়েন করা হবে। সংবেদনশীল বুথে থাকবে ৪ জন করে সশস্ত্র পুলিশ। এ ছাড়া স্ট্রং রুম ও সরকারি প্রেসে দু’জন করে সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। মোতায়েন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মাথায় থাকবেন একজন গেজেটেড অফিসার। ত্রিপুরার রিটার্নিং অফিসারকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া সব পর্যবেক্ষকদেরও নিরাপত্তারক্ষী ও এসকর্ট দেওয়া হচ্ছে।
আগরতলা নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মোতায়েন করা হচ্ছে সিআরপিএফের অতিরিক্ত ১৫টি দল। বুধবার সন্ধের মধ্যেই ইভিএম নিয়ে নিজের নিজের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা। আগরতলার উমাকান্ত অ্যাকাডেমিতে তৈরি হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের অফিস। বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নে পুরভোট করা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। কমিশন সেই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে কি না, সেদিকে আজ নজর থাকবে সকলের।