আসানসোল: ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডকে বেসরকারিকরণের হাত থেকে বাঁচাতে আন্দোলনে নামল তৃণমূল। শনিবার দুর্গাপুরে ঝাঝরা কয়লা খনি এলাকায় এক সমাবেশে তৃণমূলের নেতারা ঘোষণা করেন, একমাস ধরে তাঁরা বিভিন্ন কয়লা খনি ঘেরাও করবেন। ১১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সমাবেশের মাধ্যমে এই পর্যায়ের আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন হবে পুজোর পর।
এদিন এই সমাবেশে হাজির ছিলেন, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, শতাব্দী রায়, INTTUC রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সমাবেশে ঋতব্রত বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বিক্রি করে দিচ্ছে। স্থায়ী শ্রমিকদের বদলে ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করানো হচ্ছে। তৃণমূল এটা কখনও মেনে নেবে না। বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদে আজ থেকেই আমাদের আন্দোলন শুরু হল। অন্য নেতারা জানান এক মাস ধরে আসানসোল রানীগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর প্রভৃতি এলাকায় পদযাত্রা চলবে। কয়লা খনিগুলি ঘেরাও করা হবে।
আরও পড়ুন: ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনে ১৬ জন সদস্য নিয়ে ওয়াক আউট বিধায়কের
এদিকে, INTTUC-র এই সভামঞ্চে ECL এর ঝাঝরা কোলিয়ারির ম্যানেজার কৌশিক খান হাজির থাকায় বিতর্ক দেখা দেয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতার কটাক্ষ করে বলেন, ECL এর বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে অথচ এক এর ম্যানেজারই তৃণমূলের সভা আলোকরে বসে আছেন। যদিও ম্যানেজারের দাবি তিনি ছবি তোলার জন্য মঞ্চে উঠেছিলেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ওই ম্যানেজার অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে দেখতে এসেছিলেন।
বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, গোটা বাংলাকে দিদিমনি বিক্রি করে দিচ্ছে, আর তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী মোদির দিকে আঙুল তুলছে। আজকে জি-২০ সম্মিলনে মোদিজি সভাপতি। যা গোটা ভারতের গৌরব। সারা বিশ্ব মোদির কাছে মাথানত করছে আর তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মনকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।