কলকাতা, ১৬ এপ্রিল : কথা রাখল বালিগঞ্জ । ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসে । কিন্তু, তার আগে ২০০৬ সালে প্রবল বাম হাওয়ার মধ্যেই বালিগঞ্জ বিধানসভায় কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান । বালিগঞ্জ থেকে ঘাসফুলের সেই পথ চলা শুরু । আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । তার পর ২০১১-১৬-২১ পর পর তিন বার । এখান থেকেই জিতেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় । এই বালিগঞ্জই দিয়েছিল পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রতকে । পরিবর্তনের সরকার আসার পর যে পঞ্চায়েত এবং সুব্রত নাম দুটো একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে । যে পঞ্চায়েত দফতর বাংলাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছে ।
গত বছর শেষের দিকে প্রয়াত হন সুব্রত । আর সে কারণেই বালিগঞ্জে উপ নির্বাচন । বিজেপি-বাম-কংগ্রেস তেমন কিছু করে উঠতে পারবে একটি বারের জন্যও মনে হয়নি । আজ, শনিবার ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেল, সেটাই সত্যি । কুড়ি হাজারের বেশি ভোটে জিতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় । ১৯৭১-৭২ কংগ্রেসের সুব্রত, পরবর্তীতে তৃণমূলের সুব্রত-র পর বালিগঞ্জ এখন বাবুলের ।
১৯৭৭ থেকে ২০০১ । সচিন সেন এবং রবীন দেবের হাত ধরে বালিগঞ্জের রং লাল হয়েছিল বটে । কিন্তু, আজ বামেদের প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার মানুষ । গত বিধানসভা ভোটে শূন্যে নেমে যাওয়া দলটা অবশ্য বঙ্গ-বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসিম আব্দুল হালিমের পুত্রবধূ সায়রা শাহ হালিমের হাত ধরে দুই নম্বরে উঠে এসেছে । আর তিন নম্বরে নামিয়ে দিয়ে বাংলার মানুষ আরও এক বার বুঝিয়ে দিল বিজেপিকে তারা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে ।