নয়াদিল্লি: প্রবল বর্ষণে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত গোটা উত্তর ভারত। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লিসহ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে ব্যাপক বর্ষণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গত তিনদিনে এ পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেশ কিছু জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক জলের তোড়ে, হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে। পাহাড়ি এলাকার বহু এলাকা ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। উত্তরের বেশ কিছু রাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল অমরনাথ যাত্রা শুরু হলেও প্রবল বৃষ্টির কারণে ফের তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দুদিন ভারী বর্ষণ হবে হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীর, রাজস্থান ও দিল্লিসহ সংলগ্ন এলাকায়। এর মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। কুলু-মানালি সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে বিপাশা, ইরাবতী, শতদ্রু এবং চন্দ্রভাগা নদী ফুসছে। দিল্লি, নয়ডা ও গুরুগ্রাম সহ বহু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Rajyasabha Election | রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল, নতুন মুখ ৩
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সব মন্ত্রী, সরকারি সচিব ও মেয়রের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। পঞ্জাবের বহু এলাকা এই মুহূর্তে জলের তলায়। আপের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। পঞ্জাবের রাজপুরায় চিৎকারা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০০ পড়ুয়া জমা জলে আটকে পড়ে থাকায় রাতে সেখানে সেনা নেমে তাঁদের উদ্ধার করেন।