মালদহ: মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে পড়ায় নিহত ১৮ শ্রমিকের মৃতদেহ এসে পৌঁছল মালদহে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সড়ক পথে মিজোরাম থেকে ১৮টি কফিন এসে পৌঁছয়। বাকি পাঁচটি দেহ আগামিকাল শনিবার আসবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন দেহগুলি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়। সেখান থেকে পরিজনদের হাতে দেহগুলি তুলে দেওয়া হয়।
এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া, পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী সহ সরকারি আধিকারিকরা। এছারাও ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সামিরুলই গোটা বিষয়টি দেখভাল করছেন। সম্প্রতি তাঁকে মাইগ্র্যান্ট লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারমযান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাবারে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ১ শিশুর, গুরুতর অসুস্থ একই পরিবারের আরও ৩ সদস্য
এদিনই দুপুরে মালদহে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি কলকাতা থেকে যুবা এক্সপ্রেসে চেপে দুপুরে পৌঁছন মালদহে।রাজ্যপাল নিহত কয়েকজনের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। কয়েকজনের হাতে চেকও তুলে দেন। তা নিয়ে এদিনই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল। তিনি বলেন, রাজ্যপাল কোন এক্তিয়ারে পরিজনদের হাতে চেক দিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল নিহত সব শ্রমিকের বাড়ি যাননি। পাশাপাশি সামিরুলের আরও অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ সঠিক ভাবে মৃতদেহ সংরক্ষণ করেনি, তাই দুই দিনেই দেহগুলি পচে গিয়েছে।
বুধবার সকালে মিজোরামের একটি পাহাড়ি অঞ্চলে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় অনেকের। তার মধ্যে মালদহেরই পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন ২৩ জন। কাজের খোঁজেই এই শ্রমিকরা মিজোরামে গিয়েছিলেন। মালদহের রতুয়া, ইংরেজবাজার প্রভৃতি এলাকার কোনও কোনও বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন-চারজন সদস্যও ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। মৃতদেহগুলি এসে পৌঁছনোর পর, এলাকায় কান্নার রোল ওঠে। পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে কেউ কেউ একেবারে একাও হয়ে গিয়েছেন।