কংগ্রেসের নতুন সভাপতি পদে যিনি নির্বাচিত হোন দলের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনায় তিনি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। শনিবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দীর্ঘ ২২ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হতে চলেছে। রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দল নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে আর কংগ্রেসের লোকসভার সদস্য শশী থারুর এবার দলের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর ভারত জোড় যাত্রার ফাঁকে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, রাহুলের প্রতিক্রিয়া, যে দুজন সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন তাঁদের নিজস্ব সম্মানজনক অবস্থান রয়েছে। আবার দল পরিচালনার ব্যাপারে দুজনেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। তাই এদের মধ্যে কারওকে রিমোট কন্ট্রোলে চালিত হবেন বলার অর্থ তাঁদের আত্মসম্মানে আঘাত করা।
ইতিমধ্যে তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ ও সভাপতি পদের প্রার্থী শশী থারুরের বিস্ফোরক দাবি, তিনি ইতিমধ্যে ফোন পেয়েছেন নানা জায়গা থেকে। সেই ফোনে দিল্লির বিশ্বস্ত সূত্র পাওয়া খবর বলে থারুরকে জানানো হয়েছে, যে সভাপতি পদের লড়াই থেকে তিনি নাকি সরে দাঁড়াচ্ছেন। আর এরপরেই যেন চরম বার্তা দিচ্ছেন এই ভঙ্গিতে শশী থারুরের ঘোষণা তিনি, সভাপতি পদের দৌড়ে শেষ পর্যন্ত থাকছেন। কখনও কোনওভাবে তিনি নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন না।
ইতিমধ্যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনের প্রচারে নেমেছেন খাড়গে আর থারুর। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন আর ১৯ অক্টোবর ফল ঘোষণা। অর্থাৎ দীপাবলির আগেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে কে হবেন কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি। আর প্রতিপক্ষ বিজেপির তরফে ইতিমধ্যে দফায় দফায় দাবি করা হয়েছে, যে কংগ্রেস সভাপতি পদে যিনিই নির্বাচিত হোন তাঁকে আসলে রিমোট কন্ট্রোলে পরিচালনা করবেন গান্ধী পরিবার। ইতিমধ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গেও বিজেপির ওই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। আর শনিবার সোনিয়া-তনয় পাল্টা আক্রমণে নেমে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস কোনও ফ্যাসিবাদী দল নয়। তাই আমরা আলোচনার পথে সমাধান খোঁজায় বিশ্বাস করি। আর যে কোনও ক্ষেত্রে আমরা দলের মধ্যে ভিন্ন মতের অবস্থানকে অনায়াসে মেনে নিই।