একুশের বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) রাজ্যে তৃমমূলের জয় জয়কার হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলে তৃণমূলকে সাহায্য করেছে রাজ্যের ৪৬ শতাংশ মহিলা ভোট (Women’s Vote)। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও (Panchayat Election) সেই একই সমীকরণে আস্থা রাখতে চায় তৃণমূল। তার জন্য ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে তৃমমূল কংগ্রেস (TMC)। সেই উপলক্ষ্যেই বুধবার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের বিশেষ বৈঠক সেরে নিলেন সংগঠন সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
রাজ্যের শাসক দল বাংলায় মহিলাদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছানোর জন্য ৪৪ জনের একটি নতুন মহিলা সাংগঠনিক কমিটি তৈরি করেছে। জেলা কমিটিগুলিতেও আনা হয়েছে একাধিক বদল। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হলো জেলাস্তরের মহিলা সংগঠনগুলিকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য গড়ে তোলা। ৩৩টি জেলায় সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে, দফায় দফায় হতে থাকবে বৈঠক। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সমস্ত বৈঠক চালানো হবে জেলা স্তরে। এইসব বৈঠকে কি আলোচনা করা হবে, তা ঠিক করতে তৃণমূল ভবনে বৈঠকও করেছে মহিলা তৃমমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: Duttapukur TMC Own Clash: দত্তপুকুরে তৃণমূলের ফ্লেক্স ছিঁড়ল তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন বিরোধীদের রুখতে এবং তৃমমূলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সময় রাজ্য সরকার (State Govt) মহিলাদের জন্য যেসব বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প এনেছে, সেইসবকে তুলে ধরা হবে। তিনি আরও বলেছেন, পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরজন্য মহিলারা রাজনৈতিক সম্মান পাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নব গঠিত মহিলা কমিটি বিভিন্ন জেলায় গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষীর ভাণ্ডার, পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের মতো বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পৌঁছাবে।
উল্লেখ, কয়েক দিন আগেই রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি (BJP)। বৈঠক করে রণকৌশলও তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় একাধিক কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা নেত্রীদের হাতে। যেমন যুব মোর্চার দায়িত্বে আছেন অগ্নিমিত্রা পাল, মহিলা মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এবং সংখ্যালঘু মোর্চার দায়িত্বে রয়েছেন মাফুজা খাতুন। বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলই রাজ্যের মহিলা ভোটের সমর্থন পেতে চায়। তবে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সমীকরণে আস্থা রাখলে পদ্মশিবিরের তুলনায় রাজ্যের মহিলা ভোট তৃণমূলের দিকেই ঝুঁকে। আর তৃণমূল রাজ্যের মহিলা ভোট কোনও মতেই ছাড়তে রাজি নয়।