কেশপুর: কেশপুরে (keshpur) তৃণমূলের কার্যালয়ে (TMC Party Office) তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় সিপিআইএম (CPIM) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। অভিনেতা ও তৃণমূল (TMC) সাংসদ দেবের (Dev) গ্রাম মহিষদায় সিপিআইএম (CPIM) দলীয় কার্যালয় বছর কয়েক আগেই দখলের অভিযোগ উঠেছিল টিএমসির বিরুদ্ধে। বারংবার বামেরা আবেদন করলেও, তাতে কোনওরকম কর্ণপাত করা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে শনিবার রাতে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন এলাকার বাম কর্মী-সমর্থকরা। তাদের বক্তব্য, “ওই কার্যালয়ে আমাদের। আমরা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি।” এদিকে আজ রবিবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় ওই কার্যালয়ের তালা খোলে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা।
জানা গিয়েছে, গতকাল এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই কেশপুর থানার পুলিশ (Police) ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ (Police) মোতায়েন ছিল। পার্টি অফিসে ( Party Office) তালা ঝোলানোর ঘটনায় স্থানীয় বাম নেতৃত্বের যুক্তি, গ্রামের ছেলে দেব সাংসদ হলেও, গ্রামে আসেন না। তৃণমূল জামানায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে বসে কাজ কী তৃণমূল নেতৃত্বের? আর সেই কারণেই দলীয় অফিস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছেন তাঁরা। উল্টোদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে এলাকার মানুষকে উসকানোর চেষ্টা করছে বামেরা। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাম-তৃণমূল এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কেশপুরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, এমনটাই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন:LGBTQ Bangladesh: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে রূপান্তরকামিতা-সমকামিতা, বাংলাদেশ বাতিল পাঠ্য বই
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল (TMC)। কেশপুরের মহিষদা এলাকা তখন থেকেই শাসকদলের দখলে। সেইসময় থেকেই সিপিআইএমের নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই কার্যালয় থেকেই তখন তৃণমূলের দখলে এবং এলাকার রাজনৈতিক কর্মসূচিও সেখান থেকেই পরিচালনা করা হয়। এখানে উল্লেখ্য, বিতর্কিত ওই কার্যালয় থেকে ২০০ মিটার দূরে তৃণমূলের সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারীর জ্যেঠুর বাড়ি। তৃণমূল ওই এলাকায় যথেষ্ট সক্রিয় বলে খবর।
শনিবারে তালা ঝোলানোর ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, “কোনও এক মাতালকে দিয়ে সিপিআইএম উসকানি দিতে এই তালা ঝুলিয়ে ছিল। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় তালা খুলেছি। কর্মীরা পুনরায় স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে শুরু করেছে সেখানে। এভাবে সিপিআইএম সেখানে নিজেদের কাজকর্ম কখনও স্বাভাবিকভাবে করতে পারবে না।”
এই প্রসঙ্গে কেশপুরের (Keshpur) জামশেদ ভবনে বসে স্থানীয় সিপিআইএমের (CPIM) এরিয়া কমিটির সম্পাদক নিয়ামত হোসেনের পাল্টা দাবি, “কোনও মাতাল নয়, আমাদের কর্মীদের দিয়েই এই তালা লাগিয়েছিলাম। কার্যালয়টি আমাদের, আমরা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি। ওই কার্যালয় আমাদের ছিল, একসময় তৃণমূল দখল করেছিল। আমরা আবার দখল করেছিলাম। কিন্তু পরে আবার ওরা দখল করে নেয়। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবো। এমন অনেকগুলি কার্যালয় তৃণমূল দখল করে রেখেছে, সেগুলি উদ্ধার হবে।”