পানাজি: তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গোয়া পৌঁছলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে তাঁর নানান কর্মসূচি শুরু হবে৷ গোয়ার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক দিয়েই তাঁর কর্মসূচি শুরু হবে৷ শেষ হবে সাধারণ মানুষের সমস্যা-দাবি জানতে ‘সাধারণের দরবার’ দিয়ে৷ যেখানে গোয়ার সমস্ত স্তরের মানুষ উপস্থিত থাকবেন৷ তৃণমূল সূত্রের দাবি, শুক্রবার সন্ধেয় দিদি গোয়ার সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনবেন৷ তারপর ফের গোয়ার অস্থায়ী ঠিকানায় রাত্রিবাস৷’
তৃণমূল সূত্রে খবর, তিনদিনের গোয়া সফরে বহু এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গোয়ার বহু রাজনৈতিক এবং সাংষ্কৃতিক ব্যাক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করবেন গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনও করা হয়েছে৷ দফায় দফায় চা চক্র থেকে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে তৃণমূল সুপ্রিমো কাদের সঙ্গে দেখা করবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
শুক্রবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে দুপুর বারোটা নাগাদ বেতিমে মৎসজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেখান থেকে রওনা দেবেন ডোনা পাওলা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠক করবেন৷ তারপর ফের প্রিওলের মাঙ্গুশি মন্দিরে পুজো৷ তারপর চারটে নাগাদ মারদলের মহালশা নারায়ণী মন্দিরে পুজো দেবেন৷ সাড়ে চারটে নাগাদ পুজো দেবেন পোন্ডার তপভূমি মন্দিরে পুজো দিয়ে ডোনা পাওলাতে সাধারণের দরবারে হাজির হবেন৷
আরও পড়ুন-উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে দলে দুই পরিবর্তনের পরামর্শ সুনীল গাওস্করের
আগামী ২০২২ সালে নির্বাচন রয়েছে গোয়ায়৷ সেই নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ ত্রিপুরা (Tripura) ও অসমের (Assam) সহ গোয়াও এখন তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ৷ গোয়া জয়ের লক্ষ্যে এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, তিন সফরের মাঝে গোয়ার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন৷ কারা কারা সেই তালিকায় থাকেন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ৷ কারণ, বাংলায় একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্তু করার পর ‘নেত্রী’ হিসাবে গোটা দেশের নজর কেড়েছেন৷ আগামীতে বিজেপি বিরোধী জোটের কাছে তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে অনেকেই মনে করছেন৷
আরও পড়ুন-আরিয়ান মামলার অফিসার ইনচার্জ সমীর ওয়াংখেড় নন, সাফ জানাল NCB
ইতিমধ্যে, বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ব্যক্তিত্ব, সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ মমতার অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হলে নতুন সরকার গঠিত হবে। যা গোয়ায় এক নতুন ভোর নিয়ে আসবে। নতুন সরকার মানুষের সরকার হোক, মানুষের সমস্যা বুঝুক এটাই কাম্য।’