নয়াদিল্লি: লোকসভা (Lok Sabha) থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র (TMC Leader Mahua Moitra)। ‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ (Cash for Query) কাণ্ডে এথিক্স কমিটির (Ethics Commitee) সুপারিশে শুক্রবার লোকসভার সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করা হয় মহুয়াকে।
সেদিনই শেষ দেখে ছাড়ার হুমকি দেন সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার লোকসভায় ধ্বনিভোটে তাঁর বহিষ্কারের সুপারিশ পাশ হওয়ার পর সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে মহুয়া ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। আগামিদিনে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে বিজেপির বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে। তাঁর আশঙ্কা, এরপর থেকে হয়ত বাড়িতে সিবিআই, ইডির অভিযান শুরু হয়ে যাবে। আগামী ছয় মাস হেনস্তার শিকার হতে হবে। তিনি বলেন, আমি তার জন্য তৈরি।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব ইডির
সেদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে মহুয়া সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন তাঁর পাশে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদলের তাবড় নেতারা হাজির। কে ছিলেন না সেখানে? কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লা-সহ অনেকেই। তৃণমূলের প্রায় সব সাংসদই ছিলেন তাঁর পাশে।
মহুয়া বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিতেই নৈতিকতা বলে কিছু নেই। তারা সব নিয়মকানুন ভেঙে ফেলেছে। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কিংবা কোনও উপহার নিয়েছি, তার কোনও প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেনি। ক্ষুব্ধ প্রাক্তন সাংসদ বলেন, মোদি সরকার যদি ভাবে আমাকে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা ছাড় পেয়ে যাবে, তবে তারা ভুল ভাবছে।
লোকসভায় এথিক্স কমিটির সুপারিশ রিপোর্ট স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পেশ করা হয়। সেই রিপোর্টে প্রশ্ন-ঘুষ কাণ্ডে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব করা হয়। গত সোমবারই সেই রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করার কথা ছিল। তা পেশ করা হয় শুক্রবার। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ কিংবা লোকসভা থেকে বহিষ্কার যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। লোকসভার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছিলেন, মহুয়াকে বহিষ্কার করা হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তবে লোকসভায় তাঁকে বলতে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
অন্য খবর দেখুন