ভাঙড়: শেষে আরাবুল ইসলামের উপর ভরসা রাখল তৃণমূল। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti ) সভাপতি হলেন আরাবুল (Arabul Islam)। সহ সভাপতি হলেন সোনালী বাছাড়। এদিন সভাপতি হওয়ার পর বিধায়ক শওকত মোল্লা আরাবুলকে মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানান। ২০১৩ সালে ভাঙড় দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন আরাবুল ইসলাম। পাঁচ বছর পর ফের ক্ষমতায় এলেন আরাবুল।
ভোট গণনার দিন ফল ঘোষণার আগেই বেরিয়ে যান আরাবুল। বলেছিলেন আমি হেরে গিয়েছি। অবশেষে শেষ হাসি হাসলেন তিনি। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন তৃণমূলের তাজা ছেলে আরাবুল।
২০১৩ সালে ভাঙড়–২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন আরাবুল ইসলাম। তারপর সেই আসনটি সংরক্ষিত হয়। তার জেরে ২০১৮ সালে আরাবুল সহ–সভাপতি হয়েছিলেন। দীর্ঘ লম্বা রাজনৈতিক জীবনে নানা বির্তকে জড়িয়েছেন তিনি।এবারই তো ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে দুর্বৃত্তদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল ভাঙড়। বোমাবাজি-গুলি, রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু কোনও কিছুই বাদ যায়নি। এমনকী আরাবুলের ছেলের গাড়ির থেকেও বোমা মিলেছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ধমকও দিয়েছেন। আবার তাঁর প্রশ্রয়ও পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে গ্রেফতার আরও দুই
ভাঙড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির ২২ সদস্যের ভোট পেয়েছেন আরাবুল ইসলাম। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর দল ভোট বয়কট করবে। সেই মোতাবেক শনিবারও ভোট বয়কট করে আইএসএফ। শওকত মোল্লার উপস্থিতিতে আবদুর রহিম তাঁর নাম প্রস্তাব করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে। আরাবুল বলেন, “শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শওকত মোল্লার নেতৃত্বেই এই জয় পেয়েছি। ভাঙড়ের মানুষদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি জয়ের জন্য। দলের আদেশ মেনেই কাজ করব।