দেগঙ্গা: আইএসএফ তৃণমূল সংঘর্ষে বুধবার সকাল থেকে উত্তাল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। চলছে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলি। ঘটনায় আহত প্রায় ৫ জন। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
বুধবার সকালে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে শুরু হয় মারামরি। দুই পক্ষের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেগঙ্গা থানার হাদিপুর ঝিকড়া ২ পঞ্চায়েতের হরপুকুর এলাকা। আইএসএফের অভিযোগ, গুলি ছোঁড়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে বিক্ষোভ দেখায় আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাদিপুর ঝিকরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরপুকুর এলাকায় পতাকা লাগানো নিয়ে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় আইএসএফ নেতৃত্বের অভিযোগ, বুধবার সকালে চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। আরও অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি এবং বোমাও। এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের মহিলারাও। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হড়পুকুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Chopra | মৃত্যু হল চোপড়ার গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মীর
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং আইএসএফ, একে অন্যের উপর হামলার দায় চাপাচ্ছে। এলাকায় মুড়ি মুড়কির বোমা পড়ছে। বেশ কিছু জায়গায় বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গুলিও চলেছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা অভিযোগ, আইএসএফ-ই এলাকায় বোমাবাজি করে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। ঘায়ফুল শিবিরের নেতাদের দাবি, আইএসএফের পায়ের তলার মাটি নেই বলেই তারা অস্ত্রের রাজনীতি করছে। তাই নিজেরা বাইরে থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে বোমাগুলির লড়াই করে। ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।