ওয়াশিংটন: টাইটানিকের (Titanic) সাব অপারেটর মারাত্মক বিস্ফোরণের পর অভিযান স্থগিত করেছে। ১৮ জুন থেকে টাইটান নিখোঁজ। আমেরিকার উপকূল রক্ষী বাহিনী (US Coastguard) জানিয়েছে, ২২ জুন ওই ডুবো জাহাজে মারাত্মক বিস্ফোরণ হয়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে ডুব দেওয়ার সময় জাহাজে থাকা পাঁচজন লোকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে যে, এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা গত সপ্তাহে সমুদ্রের গভীরে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে অনুমান করা মানব দেহাবশেষ উদ্ধার করেছেন। এবং পূর্ব কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস বন্দরে তা নিয়ে গিয়েছেন। ওশিয়ান গেট (OceanGate) তার ওয়েবসাইটে বলেছে যে ট্র্যাজেডির পরে এটি সমস্ত অনুসন্ধান এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে। কোম্পানির সিইও স্টকটন রাশ নিহতদের মধ্যে ছিলেন। ওই জাহাজের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং, ফ্রান্সের সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ পল হেনরি নার্গিওলেট, পাকিস্তানি-ব্রিটিশ শিল্পপতি শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান।
আরও পড়ুন: Justin Trudeau | আমরা সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভারতকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর
মনে করা হচ্ছে এসইউভি গাড়ির আকারের টাইটানে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ৪০ কিলোমিটার গভীরে বিস্ফোরণ হয়। তখন তাঁদের সবার মৃত্যু হয়েছে। নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে ৪০০ মাইল দূরে অবস্থিত টাইটানিকের ধনুক থেকে ১৬০০০ ফুট সমুদ্রতলে একটি ধ্বংসাবশেষ ক্ষেত্র পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, টাইটান (Titanic) ডুবোযান দুর্ঘটনার পর ১০ দিনও কাটেনি। পরবর্তী অভিযানের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছিল ওই ডুবোযান পরিচালন সংস্থা ‘ওশানগেট’। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞাপন সংস্থার ওয়েবসাইটে রয়ে গিয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের ৪ কিলোমিটার নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাবমেরিন টাইটানের (Submarine Titan) ধ্বংসাবশেষ। মিলেছে পাঁচ অভিযাত্রীর দেহাংশও। তার ঠিক পরের দিনই ওশানগেটের ওয়েবসাইটে দেখা যায় টাইটানিক অভিযানের বিজ্ঞাপন। বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে পরপর দু’টি অভিযানের আয়োজন করতে চলেছে ওশানগেট। ১২ থেকে ২০ জুন প্রথম অভিযান হবে। পরে ২১ থেকে ২৯ জুন ফের সমুদ্রে ডুব দেবে সাবমেরিন টাইটান।