নয়াদিল্লি: ওড়িশার (Odisha) বালাসোরে (Balasore) রেল দুর্ঘটনার (Rail Accident) দায় নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। সেই ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানালেন, এটা রাজনীতি করার সময় নয়। একাধিক বিরোধী (Opposition) দল দাবি করেছে ওড়িশায় বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনা ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জন। সেই ঘটনার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করুক রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী (Railway Minister) বলেন, সব প্রচেষ্টা এখন হবে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) বলেন, যখন রেলমন্ত্রী বারবার বলেন আমাদের ব্যবস্থা নিরাপদ। কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে না। তখন এই দুর্ঘটনা কী করে ঘটে? লালবাহাদুর শাস্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্যাবিনেটে এটা আশা করি না। তবু রেলমন্ত্রীর কিছুটা হলেও লজ্জা রয়েছে। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
এই ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন। বেঙ্গালুরু হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ও শালিমার চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। শুক্রবার বালাসোরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। কলকাতা থেকে যার দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। ও ভুবনেশ্বর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১৭০ কিলোমিটার। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ৩১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এদিন ওড়িশায় হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের (Balasore) কাছে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) । হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুরে ট্রেনটি ছাড়ে। খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সওয়া ৫টায়। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় বালেশ্বরে। সেই সময় বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। একই লাইনে মালগাড়ি ও করমণ্ডল এক্সপ্রেস চলে আসায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি গাড়ির। ট্রেনের তিনটি বগি ছাড়া বাকি সব বগিই লাইনচ্যুত হয়। সেসময়ই সেখানে পাশের লাইনে ছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটিও লাইনচ্যুত হয়।