অসম: আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে যখন মেয়েদের সমান অধিকারের দাবি তোলা হয়, সেখানে আজও বহু মেয়েকে নিজের অধিকারটুকু বুঝে নেওয়ার আগেই অপ্রাপ্ত বয়সে সংসারের ঘেরাটোপে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। সরকার বাল্যবিবাহ (Child Marrige)যতই আটকানোর চেষ্টা করুক না কেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজও অসংখ্য বাল্যবিবাহ ঘটে চলেছে।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অসমে বাল্যবিবাহের সংখ্যাটা অনেক বেশি। সেখানে প্রায় ৩১ শতাংশ মেয়ের বাল্যবিবাহ হয়। মূলত ১৪ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয় এবং তারা ১৮ বছর হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম দেয়। এর ফলে অসমে (Assam)মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Supreme Court on Passive Euthanasia: স্বেচ্ছামৃত্যুর নির্দেশিকায় আরও কিছু সংশোধনী শীর্ষ আদালতের
এরপরই অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Assam Chief Minister) হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যে বাল্যবিবাহ (Child Marriage)রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেন। তিনি বাল্যবিবাহের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশের পরই অসম পুলিশ বাল্যবিবাহ আইন ভাঙার অভিযোগে ১৮০০ জনকে গ্রেফতার করল।
হেমন্ত বিশ্বশর্মা নিজেই এই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ব্যালবিবাহ দমনের জন্য পুলিশকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে বলেছিলেন । এর পরই গত পনেরো দিনেরও কম সময়ে অসমে ৪ হাজারেরও বেশি বাল্যবিবাহের অভিযোগ দায়ের হয়। তিনি টুইট করে জানান,আমি এই কাজে সকলকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।
সূত্রের খবর, গুয়াহাটি, ময়রাবাড়ি, মাজুলি, ধুবড়ির মতো এলাকা থেকে সিংহভাগ গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী পকসো আইনে মামলা রুজু করা হবে । পাশাপাশি যে পুরুষরা ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ে করবে, তাদের বিরুদ্ধেও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়াও যে পুরোহিত ব্যালবিবাহ দেবেন তাঁর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।