কলকাতা: নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অপসারিত উপাচার্যদের কাছ থেকে উত্তর না মেলায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হুমকির অভিযোগকে অসত্য বলে জানিয়ে দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। গত সপ্তাহে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, কয়েকজন উপাচার্যকে উচ্চশিক্ষা দফতরের অফিসারদের একাংশ ভয় দেখিয়েছিলেন। তাই চাপে পড়ে তাঁরা ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। বোসের দাবি ছিল, পদত্যাগী কয়েকজন উপাচার্য তাঁকে এ কথা জানিয়েছেন।
রাজ্যপালের সেই ‘ভয় দেখানো’ তত্ত্বের সত্যতা যাচাই করতে চেয়ে ওই পাঁচ উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়েছিল শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছিল, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের জানাতে হবে, কে বা কারা হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁদের এ ব্যাপারে প্রামাণ্য নথিও দিতে বলা হয়েছিল। ১১ তারিখের মধ্যে লিখিত বক্তব্য না পাওয়া গেলে রাজ্যপালের অভিযোগ অসত্য বলে ধরে নেওয়া হবে, এ কথাও জানানো হয়েছিল চিঠিতে।
কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই প্রাক্তন উপাচার্যদের থেকে কোনও উত্তর না মেলায় উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়ে দিল, রাজ্যপাল তথা আচার্য তাঁদের নামে অসত্য অভিযোগ করেছেন। তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরকে হেয় করার জন্য এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মনগড়া অভিযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত ৩, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২
এদিকে ৭২ ঘণ্টা পরেও রাজ্যপালের মধ্যরাতের চিঠির রহস্য কাটেনি। শনিবার মাঝরাতে রাজ্যপাল নবান্নে একটি মুখ বন্ধ খামে চিঠি পাঠায়। কিন্তু সেই চিঠির বিষয়বস্তু আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। সোমবার নবান্নে চিঠির প্রসঙ্গ তোলায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বলেন, না তেমন কোনও চিঠি রাজ্যপাল দেননি। পরে আবার তিনি বলেন, ব্যক্তিগত এবং গোপন চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তা কেন প্রকাশ্যে আনব। তিনি আমাকে বিদেশ যাত্রার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে এখন কিছু বলছি না। আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছুর সমাধান হয়ে যায়। বিদেশ থেকে ফিরে বলব। আবার রাজ্যপাল সোমবার দুপুরেই মন্তব্য করেন, গোপন চিঠি গোপনই থাকুক। বিদেশ যাত্রার প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীর মন ভারাক্রান্ত করতে চাই না।