ইম্ফল: রাহুল গান্ধী চপারে করে মণিপুরের হিংসাকবলিত চূড়াচাঁদপুরে রওনা দিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইম্ফল থেকে সেখানে যাওয়ার পথে বিষ্ণুপুরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির কনভয় আটকায় বিজেপি রাজ্যের পুলিশ। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে খানিক তর্ক-বিতর্ক, বচসা হয় পুলিশের। সেখানে এক জায়গায় রাহুল গান্ধীর রাজ্য সফরের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবর।
পুলিশ রাহুলের যাত্রাভঙ্গের সাফাই হিসেবে বলেছে, কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড আক্রমণ হতে পারত। বিষ্ণুপুরের পুলিশ সুপার জানান, বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তাঁর কনভয় আটকানো হয়েছে। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উনি যে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই হাইওয়েতে তাঁকে গ্রেনেড ছোড়া হতে পারত বলে আমাদের আশঙ্কা ছিল। তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাঁকে সড়কপথে যেতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | SFI | ভোটে বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে, হুমকি বাম ছাত্রদের
এদিকে, রাহুলের মণিপুর সফর নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেসের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, জেদের থেকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করা বেশি জরুরি। মণিপুরের বর্তমান অবস্থার জন্য এই কংগ্রেসই দায়ী। এখন সেখানে গিয়ে রাজনীতি করার সময় নয়। কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রার অঙ্গ হিসেবে মণিপুরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু মাঝরাস্তাতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
মণিপুরে রাহুল গান্ধীর পথ আটকায় বিজেপি সরকারের পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে নেমেই সোজা হিংসা উপদ্রুত চূড়াচাঁদপুরের দিকে রওনা দেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু, কিছুদূর যাওয়ার পরই পুলিশ তাঁর পথ আটকায়। রাহুল সেখানে গেলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে পুলিশ তাঁকে জানায়। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, পুলিশ কেন কনভয় আটকেছে তা বুঝতে পারছি না। রাহুলকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুপাশে মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকলেই খুশি। কিন্তু পুলিশ আমাদের পথ আটকাচ্ছে কেন জানি না।
দুদিনের সফরে মণিপুরে (Manipur) গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শান্তির (Peace) বার্তা নিয়ে তাঁর এই মণিপুর যাত্রা। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে তিনি মণিপুরের বিমানে রওনা দেন। ইম্ফল (Imphal) বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান সেখানকার দলীয় নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে তিনি চূড়াচাঁদপুর জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে শরণার্থী শিবির তিনি ঘুরে দেখবেন। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী মণিপুরে গেলেন সেটা ভালো কথা। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিয়েছিলেন কোনও লাভ হয়নি। পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও পর্যন্ত মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও বলেননি। মণিপুরে চীনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। সেজন্য পরিস্থিতি এতটা খারাপ।