কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) র্যাগিং (Ragging) বিরোধী কমিটির বৈঠক ডাকলেন নতুন উপাচার্য (Vice Chancellor)। সোমবার বেলা ২টোয় ওই বৈঠক ডেকেছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগীয় প্রধানকে সেখানে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে র্যাগিংসংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করবেন উপাচার্য। হস্টেলে র্যাগিং বন্ধ করতে কী কী করণীয় তা আলোচনা করবেন তিনি।
র্যাগিং বিরোধী নির্দেশিকা মেনে চলা হয় না, কেন কর্তৃপক্ষ র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেন না তা নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। সেই সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে মানবাধিকার কমিশন একযোগে জবাব তলব করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে অব্যাহতির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
যাদবপুর-কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের দাবি, তাদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। নিজেদের বাঁচাতে বারবার বয়ান বদল করছে। পুলিশের স্ক্যানারে এক পড়ুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। কী ঘটেছিল ওই রাতে? তা জানতে হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকেরা। তার পরেও কী করে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ অগস্ট রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিস পাঠিয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশন নোটিসে জানিয়েছিল, সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যেই কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলার কথা উঠে এসেছে। এই বিষয়টি জানতে ডিনকে ডেকে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।
গত বৃহস্পতিবারই লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল ডিনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই রাতের ঘটনার ব্যাপারে তিনি কী জানেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। তিনি জানান, সেই রাতে ১০টার দিকে এক ছাত্র তাঁকে ফোনে জানান, হস্টেলের এক ছাত্রকে উত্যক্ত করছে। তিনি সুপারকে বিষয়টি দেখতেও বলেন। সুপার খোঁজ নিয়েছেন কি না, সেই বিষয় খবর নেননি রজত। হস্টেলের উচ্ছৃঙ্খলতার কথাও পুলিশকে জানিয়েছিলেন ডিন। তাঁর দাবি ছিল, হস্টেলে কড়া নিয়মকানুন কার্যকর করা যায়নি।