কলকাতা: শুক্রবারই ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস। হাতে মাত্র আর একটা দিন বাকি। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২১ জুলাই শহীদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁরা বলি হয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হবে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে। পাশাপাশি জেলায় জেলায় পঞ্চায়েতে বিপুল সাফল্য়ের পরও কোনও বিজয় উৎসব করা হয়নি। সেই কারণে তাই এবার বাড়তি ভিড়ের আশঙ্কা করছে অনেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর এবারের ২১ জুলাইকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে তৃণমূলের মধ্যে। এ কারণে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ওই দিন কলকাতা শহর জুড়ে মোতায়েন থাকবে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ। সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সিপি হরিকিশোর কুসুমাকার। ২১ জুলাইয়ের মূল মঞ্চ অর্থাৎ ভিভিআইপি জোনের দায়িত্বে থাকবেন দু’জন অ্যাডিশনাল সিপি ব়্য়াঙ্কের অফিসার। তাছাড়াও থাকবেন ৯ জন জয়েন্ট সিপি ব়্যাঙ্ক ও ৩১ জন ডিসি ব়্যাঙ্কের অফিসার ও ৮০ জন এসি ব়্যাঙ্কের অফিসার থাকবেন। সেইসঙ্গে ওইদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মিটিংয়ে যোগ দিতে আসা সমস্ত মিছিলকে এসকর্ট করবেন একজন করে এসি ও ইনস্পেক্টর ব়্যাঙ্কের অফিসার। শহরজুড়ে থাকছে ৩২টি হেল্প ডেস্ক। যেখানে কর্মী সমর্থকেরা সমস্যায় পড়লে এখানে যোগাযোগ করতে পারবেন। ধর্মতলা চত্বর জুড়ে থাকছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে কড়া নজরদারি চালানো হবে। ছ’টি জায়গায় থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। এর মধ্যে থেকে একটি টিম থাকছে মূল মঞ্চেপাশেই।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur | TMC | সবংয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে যোগ
এদিকে এই মিটিং ঘিরে গোটা ধর্মতলা চত্বরে থাকছে ৪৫টি সিসিটিভি ক্য়ামেরা। এর মাধ্যমে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালাবেন সিনিয়র অফিসাররা। ২১ জুলাইয়ের মূল মঞ্চের এরিয়াতে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে মেডিক্যাল ক্যাম্প। সেইসঙ্গে থাকবে কলকাতা পুলিশের অ্য়াম্বুল্যান্স শহর জুড়ে মোট ১৮টি জায়গায় থাকবে। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কর্মী সমর্থকদের সমাগম অনেকটাই বেশি হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। তাই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে গোটা ধর্মতলা চত্বর মুরে ফেলা হবে।