জুন (June) মাস চলছে। কাঠফাটা গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি বাংলার (West Bengal)।চারদিকে রোদ ঝলমল। অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে গরমের (Summer) জেরে। রোদের এই ঝলমলানিই একদম সহ্য করা যাচ্ছে না। তার উপর লোডশেডিংয়ের ঝামেলা তো লেগেই রয়েছে। কলকাতায় ও আশপাশের জেলার তাপপাত্রা ৪০ পার করে গিয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের মতো জেলাগুলির অবস্থাতো আরও খারাপ। গরমে কাহিল দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিও। আমাদের দেশের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানকার তাপমাত্রা এই মুহূর্তে ২৫-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রয়েছে।
গ্যাংটক, সিকিম
সিকিম যেতে গেলে রাজধানী গ্যাংটকে একবার পা রাখতেই হবে। সেখান থেকে যত উত্তরে যাবেন ঠান্ডা তত বাড়বে। গ্রীষ্মকালেও সেখানকার ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গ্যাংটক থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সোংমো বা ছাঙ্গু লেক। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফিট উপরের এই লেকটি একবার চোখের দেখা না দেখলে মিস করবেন। সিকিমের একেক দিকের সৌন্দর্য একেক রকম। গরমকালেও সেখানে বেজায় ঠান্ডা।
আরও পড়ুন: Youtube | বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইউটিউবের এই ফিচার
হেমিস, লাদাখ
লাদাখের হেমিস জায়গাটি জাতীয় উদ্যান এবং সেখানকার স্নো লেপার্ডের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। লেহ-লাদাখের খুব কমই ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে। গরমের সময় যখন এখানকার তুষার গলতে শুরু করে তখন পাহাড়ি উপত্যকার ঢাল ভরে ওঠে ফুল এবং পাখির কলরবে। পরিকাঠামোর অভাব এবং যাতায়াতের অসুবিধার কারণে এই স্থানে পর্যটকদের সমাগম হয় না বললেই চলে।
কোদাইকানাল, তামিলনাড়ু
তামিলনাড়ুর কোদাইকোনাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। তামিলনাড়ুর এই শৈল শহরটি কেউ যেন সবুজ রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। কোদাইকানাল একটি অপূর্ব সু্দর হিল স্টেশন। গরম কিংবা বর্ষায় সময় কাটানোর আদর্শ স্থান এটি। এছাড়াও রয়েছে ঘন বনাঞ্চল, প্রচুর হ্রদ এবং ঝরনা। এই সময় এখানে প্রচুর ফুল ফোটে। পায়ে হেঁটে শহরের সৌন্দর্য দেখার অভিজ্ঞতাই আলাদা। এছাড়াও এখানে নৌকা বাইচ, হাইকিং, সাইক্লিং করতে পারেন অনায়াসে।